বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘হাই প্রোফাইল’ নয়, দেশি কোচ চান মাশরাফি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:৩৫

বিদেশি কোচের সঙ্গে দেশি কোচের পারিশ্রমিকের পার্থক্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখান মাশরাফি। সবশেষে দাবি করেন দেশি কোচ আনার।

বাংলাশের ক্রিকেটে বিভিন্ন পর্যায়ে বিদেশি কোচ নিয়োগ দেয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাশরাফি মোর্ত্তজা। দেশি কোচেরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে আরও ভালো প্রত্যাশা রাখতে পারেন এমন অভিমত সাবেক এ অধিনায়কের।

এই প্রসঙ্গে মাশরাফি মঙ্গলবার সকালে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন ফেসবুকে। কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মাশরাফি। তার মতে, বিদেশি কোচেরা দলের সংস্কৃতি বুঝতে পারেন না, যে কারণে অধিকাংশ সময় তৈরি হয় ভুল-বোঝাবুঝি।

মাশরাফি লেখেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে আসা। তা না হলে- ও তো বুঝবেই না একজন সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ তৈরি করতে কত দিন লেগেছে বা অতীতে তাদের অবদান কী। একজন মুস্তাফিজ কীভাবে উঠে এসেছে।

‘অফ ফর্ম সব খেলোয়াড়ের জীবনেই যায়, বাদও পড়ে। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট থেকে অপমানিত আমাদের দেশেই বেশি হয়। তাকে তো সহযোগিতা করতে হবে কীভাবে তাকে ফর্মে আনা যায় বা তাকে মেন্টালি কীভাবে সাপোর্ট করা যায়। কোনোভাবেই আপনি বুঝতে দিতে পারেন না যে, তাকে আর আপনার সময়কালে দেখতে চান না। কোনো কোচ আমাদের দেশে কাজ করার আগে আমাদের দেশের ক্রিকেট ফলো করে না। চাকরির জন্য আসে শেষ হলে চলে যায়।’

বিদেশি কোচের সঙ্গে কাজ করার নিজের অভিজ্ঞতাও জানান মাশরাফি। কোচের কাউকে প্রিয়পাত্র বানিয়ে ফেলার রীতির সমালোচনা করেন তিনি।

লেখেন, ‘সব সময় দেখেছি কোচ তার নিজস্ব একজন বা দুইজন প্রিয় খেলোয়াড় বানিয়ে নেয়। পরে নির্বাচক, অধিনায়ক বা অন্য কেউ তাকে আর কিছুই বোঝাতে পারে না। বরং সম্পর্কগুলো জটিল হতে থাকে আর ওই পছন্দের জন্য সে আবার দুই-একজনকে এমন অপছন্দ করা শুরু করে যে তাদের আর দেখতেই পারে না।

‘কোচের পছন্দ নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড় হতেই পারে। সেটা সব কোচেরই হয়, অন্যান্য দেশেও হয়- এটাই স্বাভাবিক, তবে কখনও সেটা প্রকাশ্যে বুঝতে দেয় না। কারণ দলের সেরা ৩-৪ জন খেলোয়াড়ই শুধু ম্যাচ জেতায় না। আর জেতালেও আপনি একজনের জন্য আরেকজনকে ছোট করতে পারেন না।’

কোচের দায়িত্বটা দলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিভাবকের মতো হতে হবে এমনটা মন্তব্য করেন মাশরাফি। দলে বৈষম্য তৈরি না করে সবার মধ্যে সমতা নিয়ে আসাই তার কাজ এমনটা মনে করেন তিনি।

লেখেন, ‘কোচকে বলা হয় ফাদার অফ দ্য সাইড। সে সবাইকে দেখে রাখবে, প্রয়োজনে কঠোর হবে আবার দলের স্বার্থে যাকে প্রয়োজন তাকে ব্যবহার করবে। কারো প্রতি কঠোর, কারো প্রতি নমনীয়- এটা এক রকমের বৈষম্যতে রূপ নেয় আমাদের দেশে। যা গোছানো দলকে অগোছালো করে ফেলে।

‘একপর্যায়ে তারা নিজেদের দেশে না হলে আইপিএল বা আরো ভালো কোনো অফার পেয়ে চলে যায়। কারণ এতো দিনে সে আমাদের ক্রিকেটকে নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে। নিজের প্রোফাইলও ভারী করেছে।’

বিদেশি কোচদের সঙ্গে দেশি কোচদের পারিশ্রমিকের পার্থক্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখান মাশরাফি। সবশেষে দাবি করেন দেশি কোচ আনার।

লেখেন, ‘বেতন তো নিয়েছে মাসে ১২-১৫ লাখ টাকা আর আমাদের কোচগুলো না খেয়ে মরে। গালিও দেখি আমাদের কোচরা হজম করে। পরে তারা চলে গেলে আমরা পড়ি বিপদে। আবার নতুন কোচ, নতুন পরীক্ষা, নতুন দাবি মেটানো। এভাবেই চলছে বাংলাদেশে কোচদের যাওয়া আসা।

‘তাই আমার মনে হয়- হাই প্রোফাইল নয় আমাদের প্রয়োজন, আমাদের কোচ, বাংলাদেশের কোচ।’

আনুষ্ঠানিক অবসর না নিলেও, প্রায় দেড় বছর জাতীয় দল থেকে দূরে আছেন বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি অধিনায়ক। বর্তমানে নিজের নির্বাচনি এলাকা নড়াইল ২ আসনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত আছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর