বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিরপুরের উইকেটে কৌশল বদলাতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:১০

প্রেসিডেন্টস কাপ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে শেরে বাংলাকে। চারটি উইকেটের ভেতর টেস্টের জন্য সংরক্ষিত একটি উইকেট বাদে বাকি সবগুলো উইকেটে লম্বা সময় খেলা হচ্ছে বিরতিহীনভাবে।

শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট লম্বা সময় ধরে ভোগাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। স্বাগতিক ক্রিকেটাররা তো বটেই, ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অতিথিদেরও।মিরপুরের সেন্ট্রাল উইকেটে আগে ব্যাটিং করা দল পায় সুবিধা। রান তাড়া করে এই পিচে জয় পেতে বেগ পেতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। অস্ট্রেলিয়া ও চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে।

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ থেকে শুরু করার পর ডিপিএল ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে শেরে বাংলাকে। চারটি উইকেটের ভেতর টেস্টের জন্য সংরক্ষিত একটি উইকেট বাদে বাকি সবগুলো উইকেটে লম্বা সময় খেলা হচ্ছে বিরতিহীনভাবে। ফলে কিউইরেটররা পরিচর্যা করার সময় পাচ্ছেন না।

এ কারণে প্রায় সময় ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে মিরপুরের ২২ গজ। টি-টোয়েন্টিতে দুটি ম্যাচে ১০০ রানের নিচে আটকা পড়েছে স্বাগতিক ও সফরকারী দল।

শুধু তাই নয়, শেষ ৮ ম্যাচের দুটিতে ১৩০ এর ওপর পুঁজি এসেছে শেরে বাংলার উইকেট থেকে। বাকি ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের শেরে বাংলার স্লো উইকেট থামিয়ে দিয়েছে ১২০ এর ঘরে।

এ ধরণের কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং করাটা চ্যালেঞ্জিং বলে মানছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপেনার লিটন দাস। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন উইকেটের কারণে ব্যাটিংয়ের কৌশল পাল্টাতে হচ্ছে স্ট্রোক প্লেয়ারদের।

লিটন বলেন, ‘ব্যাটিং কন্ডিশনটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। গত তিনটা ম্যাচ লো স্কোরিং হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবারই আশা থাকে যে বড় স্কোর করা বা স্ট্রাইক রেট ধরে রাখা। যেহেতু সেটা হচ্ছে না তাই খেলা পাল্টে ফেলতে হচ্ছে। এটা খুব কঠিন। এই ফরম্যাটে সব ব্যাটসম্যান আক্রমণাত্মক মনোভাবে থাকে। আমার মনে হয় এখানে সিঙ্গেলসে বেশি ফোকাস দিতে হবে। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও ভালো করতে হবে।’

অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজে বায়ো বাবলে প্রবেশের আগে মাত্র ১৪ দিন সময় পান স্বাগতিক ক্রিকেটাররা। চলতি সিরিজটিও হচ্ছে এক দিনের বিরতি দিয়ে। টানা খেলার কারণে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বলে মনে করেন এই হার্ডহিটার।একই সঙ্গে গরম আবহাওয়ার কারণে বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে বলে জানান এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

লিটন বলেন, ‘যেখানে খেলছি এখানে প্রচন্ড গরম আবহাওয়া, নিজেকে সেভাবে মেইনটেইন করতে হচ্ছে। কারণ একদিন পরপর খেলা গরমে। একদিন পর পর খেলা হলে ব্রেক গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের বিশ্রাম খুব দরকার। কারণ এরকম গরমে পরপর অনুশীলন ও ম্যাচ থাকলে এনার্জি লেভেল ডাউন হয়ে যায়। এ জন্য আমরা সবাই ফিটনেসে অনেক মনোযোগ দিচ্ছি। জিম করছি। কারণ স্ট্রেংথ অনেক বেশি দরকার।’

এ বিভাগের আরো খবর