সাফ ফুটবলের প্রস্তুতি হিসেবে কিরগিজস্তান সফরে প্রথম ম্যাচে ফিলিস্তিনের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে পুরনো কৌশল ছেড়ে নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছিল জেমি ডের বাহিনী।
জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডের নতুন ট্যাকটিকস প্রতিপক্ষের সামনে পাত্তাই পায়নি। পুরো ম্যাচে গোলপোস্টে একটাও শট নিতে না পারা তার অন্যতম উদাহরণ।
সাধারণত ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দলকে সাজান জেমি। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ৩-২-৪-১ ফরমেশনে জামাল ভূঁইয়াদের খেলান এই ইংলিশ কোচ।
রক্ষণে পেছনে তিনজনকে রেখে তার ওপরে দুজন ডিফেন্ডারকে সাজিয়ে রক্ষণকে সাজান জেমি। তার উপরে মাঝমাঠে চারজন। আর সামনে একজন।
এই কৌশলে পুরো ম্যাচে গোলপোস্টে একটা শট নিতে ব্যর্থ হয় জামাল ভূঁইয়ারা। শুধু তাই নয়, বল দখলেও সেভাবে ছন্দে মনে হয়নি দলকে। সাজানো কোনো আক্রমণ আসেনি ফুটবলারদের কাছ থেকে।
উল্টো ফিলিস্তিনের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত ছিল বাংলাদেশ। এর কারণ হতে পারে জেমির নতুন ফরমেশন। পেছনে তিন জন ডিফেন্ডারের কৌশল নেয়ায় দুই উইঙ্গে অনেক বেশি ফাঁকা জায়গা সৃষ্টি হয় ম্যাচে। বারবার ফাঁকা উইঙ্গ দিয়ে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে গেছে ফিলিস্তিন।
বাংলাদেশের নতুন ফরমেশনের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেয় ফিলিস্তিন। ছবি: সংগৃহীত
এমন অবস্থায় হারেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি জেমি। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘জানতাম এটা একটা কঠিন গেম হবে। প্যালেস্টাইন ও আমাদের রাঙ্কিং ব্যবধান অনেক বেশি। এটাই হওয়ার কথা ছিল। কঠিন ম্যাচ হওয়া সত্বেও সবাই অনেক ভালো খেলেছে।’
৭ সেপ্টেম্বর কিরগিজস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও কি একই কৌশলে এগোবেন জেমি? উত্তর সরাসরি না দিলেও দলে বদল আনার ইঙ্গিত দিলে তিনি।বলেন, ‘খুব কম সময়ের ব্যবধানে আরেকটি ম্যাচের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু কিছু খেলোয়াড় হয়তো বদলি করতে হবে।’
এদিকে বাংলাদেশ দলের প্রতিভার অভাব দেখেন না ফিলিস্তিনের কোচ কফরহাত মুসাবিগকোভ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশফুটবল দল আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। তারা দারুণ খেলেছে। বেশ কিছু চৌকস খেলোয়াড় আছে যাদের দক্ষতা চোখে পড়ার মতো।
‘ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও সমীহ আদায় করবে। আমি তাদের পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ।’