অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে একটু ফিরে যাওয়া যাক। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬২ রানেই গুটিয়ে যেতে হয়েছিল অজিদের। এরপর একই পিচে খেলা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের প্রথম টি-টোয়েন্টি। সেই ম্যাচেও কিউইরা আটকে যায় মাত্র ৬০ রানে।
শুধু এই দুই ম্যাচেই নয়। পুরো অস্ট্রেলিয়া সিরিজজুড়েই শেরে বাংলার উইকেট ভুগিয়েছিল দুই দলকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বদলে গেল শেরে বাংলার উইকেট। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৪১ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা। আর তার জবাবে ব্যাট করতে নেমে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি করে ৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারী দল।
বদলে যাওয়া এই উইকেট নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দিনের বেলায় কিছুটা বিপক্ষে থাকলেও রাতের উইকেট স্বাগতিকদের সঙ্গ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই মন্তব্য করেন রিয়াদ।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘উইকেট আজকে বেশ ভালো ছিল আগের ম্যাচের তুলনায়। দিনের বেলায় যখন ব্যাট করছিলাম সে সময় স্পিন খুব ধরছিল। বাউন্সও একটু উঁচু-নিচু হচ্ছিল। লাইটেও উইকেট বেশ ভালো ছিল। অনেক বেশি ভালো ছিল। বোলাররা এই পিচে অনেক ভালো বোলিং করেছে। ১৪০ ডিফেন্ড করতে পেরেছে।’
কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনিং জুটি থেকে এসেছে ৫৯ রান। একই সঙ্গে দুর্দান্তভাবে কাজে লাগানো হয়েছে পাওয়ার প্লেকেও। নতুন বলে ব্যাটিং কঠিন হওয়ার পরও নিজেদের ভুল-ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী কাজ করার ফলেই সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন টি-টোয়েন্টির এই দলপতি।
এ প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, ‘আমার মনে হয় নতুন বলে ব্যাটিং করাটা অনেক কঠিন, এই উইকেটে। যখন বলের সিমটা শক্ত থাকে, ওই সময় বলে বেশ বাউন্সার হয়, বল স্কিড করে, কিছু বল শার্প স্পিনও করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় নাঈম ও লিটন বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। যেমন শুরু দরকার ছিল পাওয়ার প্লেতে, ঠিক তেমনভাবেই শুরু করেছে। শুরুতে বেশ ভালো জুটি হয়েছে। সেই সঙ্গে মিডলে কয়েকটি ভালো পার্টনারশিপ হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪০ করতে পেরেছি। এই উইকেটে আমি মনে করি এটা খুব ভালো একটি সংগ্রহ।’