কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেও এবার সুর পাল্টিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। বলেছেন, সবাই চাইলে আবারও এই পদে থাকবেন তিনি।
বুধবার বিসিবির বোর্ড সভা শেষে পাপন বলেন, ‘সবাই চাইলে থাকতেও পারি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।’
তিন মেয়াদ ধরে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে থাকা পাপন বলেন, ‘কাজের লোডটা এখন অনেক বেশি। এটা যে আমি এনজয় করি না তা না। ফুল টাইম সামনে দেয়া আমার জন্য অসম্ভব। যদি আমি না দিই তাহলে বোর্ড ও ক্রিকেটের ক্ষতি হবে। এটা আমি চাই না। একটা উপায় বের করতে হবে। আমি মনে করি নতুন কেউ যদি আসে তাহলে ভালো হয়। যাকে মানুষ পছন্দ করে সে আসুক। এজন্য বলছি বোর্ডের ডাইরেক্টর ইলেকশন করতে পারি, কিন্তু প্রেসিডেন্ট নাও হতে পারি।’তবে আইসিসির সঙ্গে, দলের সঙ্গে ও অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে নিজের যে যোগাযোগ সেটা পাপন আরও বিস্তারিতভাবে জানালেন। তিনি বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। মাঝে এক বছর ছিল না। গত বিশ্বকাপের পর আবার বেড়েছে। আইসিসি ও অন্য দেশের সঙ্গেও প্রচুর কাজ, একদিনে সাত আটটা জুম মিটিং করতে হয়।’এবারের নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে বলে জানান পাপন। বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে চমক আসতে যাচ্ছে ও ভিন্ন কিছু ঘটার সম্ভাবনা বেশি। বিসিবির নির্বাচন এবার আগের মতো হবে না বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিসিবির এজিমের পর প্রায় এক দশক ধরে বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকা পাপন দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দেন। বলেন, চিকিৎসক তাকে পরামর্শ দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রিকেট থেকে সরে যেতে।
২০১২ সালে আ হ ম মোস্তফা কামাল আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর বিসিবি সভাপতি হন পাপন। ২০১৩ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বতায় একই পদে নির্বাচিত হন তিনি।