খুব দ্রুত এই ট্রান্সফার উইন্ডোটা ভুলে যেতে চাইবে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের সমর্থকেরা। লিওনেল মেসির চুক্ত নবায়ন না করা দিয়ে শুরু। তখনও আভাস পাওয়া যায়নি কী হতে চলেছে।
মেম্ফিস ডিপায়, সার্হিও আগুয়েরো, এরিক গার্সিয়াকে বিনা মূল্যে দলে টেনে দারুণ চমক দেখান নতুন সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা। আশ্বাস দেন মেসি থাকছেন দলে। শিগগিরই নতুন চুক্তি করবেন।
তেমনটা হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়তে থাকে বার্সেলোনার নতুন বিশ্বজয়ী প্রজেক্টের স্বপ্ন। লা লিগার ফেয়ার প্লে নিয়মে প্রথম তারা সই করাতে ব্যর্থ হয় মেসিকে।
এরপর লম্বা সময়ের জন্য চোটে পড়েন আগুয়েরো। আর শেষ ধাক্কাটা তারা খেল ট্র্যান্সফার উইন্ডোর শেষ সময়ে।
একই দিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বার্সেলোনা হারিয়েছে তিনজন খেলোয়াড়কে।
প্রথমে যান ইলাইশ মোরিবা। ক্লাবের সঙ্গে বেতন বাড়ানো নিয়ে গত মৌসুমেই দর-কষাকষি শুরু হয় মোরিবার। শেষ পর্যন্ত ক্লাবে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন ১৮ বছরের এই মিডফিল্ডার।
গিনির এই টিনএজারকে ১ কোটি ৬ লাখ ইউরোতে দলে টানে জার্মান বুন্ডেসলিগার দল আরবি লাইপসিগ।
মোরিবার পর একই পথ ধরেন এমারসন রয়্যাল। ব্রাজিলিয়ান রাইট ব্যাককে রিয়াল বেতিস থেকে ৯০ লাখ ইউরোতে গত জুনে কিনে নেয় বার্সা।
দুই মাসেরও কম সময় পর আড়াই কোটি ইউরোতে তাকে ছেড়ে দেয় টটেনহ্যাম হটস্পার্সের কাছে।
বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল আরও পরে। আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ক্লাব রেকর্ড ১২ কোটি ইউরোতে মাত্র দুই বছর আগেই নিয়ে এসেছিল বার্সা।
আর এবারের দলবদলের শেষ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় কাতালান ক্লাবটি। গ্রিজমান ছেড়ে দেন ক্লাব। ফিরে যান নিজের পুরোনো ঠিকানা আতলেতিকো মাদ্রিদে। এই মৌসুমটা স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে খেলবেন গ্রিজমান।
সামনের বছর আতলেতির কাছে সুযোগ থাকবে তাকে পাকাপাকিভাবে দলে টানার। সে ক্ষেত্রে বার্সেলোনাকে ৪ কোটি ইউরো দিতে হবে তাদের।
তিন খেলোয়াড় যাওয়ার দিনে একজনকে অবশ্য সই করাতে পেরেছে বার্সেলোনা। সেভিয়া থেকে তারা এক মৌসুমের জন্য ধার করে এনেছে ডাচ মিডফিল্ডার লুক ডি ইয়ংকে।