দেশের ফুটবলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে দায়ে আর্থিক জরিমানাসহ দুই বছরের জন্য প্রথম বিভাগে অবনমন হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। ফিক্সিংয়ের মূল হোতা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হয়েছেন দলের এক ঝাঁক ফুটবলার।
প্রিমিয়ার লিগে এবার তিন ম্যাচে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ১৪ ফুটবলারদের শাস্তি হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিন কমিটি।
এর মধ্যে লিগে ৮ ম্যাচে অংশ নেয়া গোলকিপার আপেল মাহমুদ ৫ বছরের জন্য নিষিধাজ্ঞা পেয়েছেন।
৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ৮ খেলোয়াড়কে। এর মধ্যে লিগে ১২ ম্যাচে অংশ নেয়া গোলকিপার আবুল কাশেম মিলন, ১৬ ম্যাচে খেলা ডিফেন্ডার আল আমিন, ১১ ম্যাচে খেলা মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, ১৫ ম্যাচে খেলা কাজী রাহাদ মিয়া, ১২ মাচে খেলা মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, ৯ ম্যাচে খেলা শামীম রেজা ও অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার ব্রেইডি ক্রিস্টিয়ান নিষিদ্ধ হয়েছেন।
২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন দলের আরও পাঁচ ফুটবলার। তার মধ্যে তিন গোল করা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্টোফার চিজোবা, দুই গোল করা মিডফিল্ডার ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মিরাজ মোল্লাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরামবাগের ৩টি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি আরামবাগের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচটি এর অন্তর্ভুক্ত। মোহামেডানের কাছে ৩-০ গোলে তারা হেরেছে ম্যাচ।
৯ ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেলের বিপক্ষে আরামবাগের ম্যাচটিও ছিল ফিক্সড। রাসেলের কাছে ৪-০ গোলে হারে আরামবাগ।
আবাহনীর সঙ্গে আরামবাগের ১৩ ফেব্রুয়ারির ম্যাচটিতে ছিল ফিক্সিং। ৪-০ গোলে ওই ম্যাচে আবাহনীর কাছে হারে আরামবাগ।
ফিক্সিংয়ের মূল হোতা ক্লাবের সাবেক সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ফিটনেস ট্রেইনার ভারতীয় নাগরিক মাইদুল ইসলাম শেখ ও সাবেক অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার আরিফ হোসেনকে ফুটবল থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দলের সাবেক ফিজিও ভারতের সঞ্জয় বোস ও সাবেক গেম অ্যানালিস্ট আজিজুল শেখকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।সাবেক জাতীয় গোলকিপার আপেল মাহমুদকে ৫ বছরের নিষিধাজ্ঞা পেয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে লিগে ৫টি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। ফিক্সিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বাফুফের কাছে বিস্তারিত জানতে চায় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।