নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি দল নতুন চেহারায় এসেছে বাংলাদেশে। ৫ ম্যাচ সিরিজের জন্য একাধিক নতুন মুখকে ডেকেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এদেরই একজন রাচিন রাভিন্দ্র।
এই বাঁহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার প্রথমবার এসেছেন বাংলাদেশে। তবে উপমহাদেশের কন্ডিশন বিশেষ করে মিরপুরের স্লো ও লো উইকেট সম্বন্ধে ভালো ধারণা আছে তার।
নিউজিল্যান্ড দল জানে নিজেদের দেশে যেমন ওভারে ৮-১০ করে রান তোলা সম্ভব টি-টোয়েন্টিতে, বাংলাদেশের মাটিতে সেটা নেমে আসবে অনেকটাই। সংবাদমাধ্যমকে অনুশীলনের পর এমনটাই জানান রাভিন্দ্র।
বলেন, ‘মানসিকতা বদল করতে হবে আমাদের। নিউজিল্যান্ডে যেখানে আমরা স্পিনারদের থেকে ৮-১০ রান বের করতে পারি এখানে হয়তো ওভারে ৬ রান করে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আলোচনায় ছিল দুই দলের লো স্কোর। পাঁচ ম্যাচের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৩১। বাংলাদেশি স্পিনারদের সামলে স্কোরবোর্ডে বড় রান যোগ করা সম্ভব হবে না সেই বাস্তবতা মেনে নিচ্ছে ব্ল্যাক ক্যাপস।
রাভিন্দ্র বলেন, ‘মিডল ওভারে আমাদের রান বেশি হবে এমন প্রত্যাশা কমিয়ে আনতে হবে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমরা দেখেছি যে ১৩০ এর বেশি রান হয়নি। তারা যদি কয়েকটা ডট বল করে তাতে সমস্যা নেই। টিকে থাকলে আমরা সেটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।’
রাভিন্দ্র ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ খেলে গেছেন। এখানের পরিবেশ তার কাছে কিছুটা চেনা। তারপরও ঢাকার গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে ব্ল্যাকক্যাপদের জন্য মানছেন তিনি।
বলেন, ‘গরমটা প্রচণ্ড। প্রথম অনুশীলন সেশনটা সবসময় কঠিন হয়। আগামী কয়েক দিনে আমরা বুঝতে পারব ঠিক কতখানি পানি খেতে হবে। নিউজিল্যান্ডের থেকে পুরো আলাদা পরিবেশ। এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য সময়টা কাজে লাগছে।’