পেপ গার্দিওলার সঙ্গে লিওনেল মেসির সম্পর্কটা গুরু-শিষ্যের। গার্দিওলা ২০০৮ সালে যখন বার্সেলোনার দায়িত্ব নেন, মেসি তখন ২১ বছরের উঠতি তরুণ তারকা।
গার্দিওলার অধীনেই মেসি ও বার্সেলোনা হয়ে ওঠে বিশ্বসেরা। মেসি তার ৬টি ব্যালন ডরের ৪টি জেতেন গার্দিওলার অধীনে। বার্সেলোনা ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখ ঘুরে ম্যানচেস্টার সিটিতে আছেন এখন গার্দিওলা। তবে ভুলতে পারেননি মেসিকে।
প্রিয় শিষ্যের কথা সব সময়ই বলে এসেছেন পেপ। এই স্প্যানিশ ট্যাকটিশিয়ানের মতে মেসিই যে সর্বকালের সেরা ফুটবলার তাতে কারও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
তবে মেসিভক্ত এই কোচের সামনের মৌসুমে সামলাতে হবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোকে। মেসির এক সময়কার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এই পর্তুগিজ সুপারস্টারকে দলে টানতে চাইছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা নতুন মৌসুমের আগে ছেড়ে দেয় ক্লাবের রেকর্ড গোলদাতা সার্হিও আগুয়েরোকে। তারপর স্ট্রাইকার হিসেবে হ্যারি কেইনকে নেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সিটি।
সেটা ব্যর্থ হয় গত বুধবার। কেইন জানান টটেনহ্যাম ছাড়ছেন না তিনি।
ফলে ট্র্যান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার আগে স্ট্রাইকার কেনার জন্য তাড়াহুড়া শুরু করেছে সিটি। তাদের পছন্দ ইউভেন্তাসে ব্রাত্য হয়ে পড়া রোনালডো।
ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের জন্য রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ১০ কোটি ইউরো খরচ করে রোনালডোকে দলে টানে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি। উল্টো লিগ শিরোপা খোয়াতে হয়েছে টানা ৯ বছর জেতার পর।
ফলে রোনালডোর মোটা বেতনের ভার তারা আর নিতে চাইছে না। এই মৌসুমে ৩৬ বছর বয়সী রোনালডোকে ছেড়ে দিতে চায় তারা। ইউভে রোনালডোর জন্য চাইছে ৩ কোটি ইউরো।
সিটি আগ্রহী তাকে নিতে। তবে তারা শর্ত জুড়ে দিয়েছে। সেটি হচ্ছে রোনালডোকে নিতে তারা ইউরো খরচ করবে না। খেলোয়াড় বদল করবে ইউভেন্তাসের সঙ্গে। সে ক্ষেত্রে তারা ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিংকে ছেড়ে দিতে রাজি।
পাশাপাশি বেতন কমাতে হবে রোনালডোকে। ৫ বারের ব্যালন ডর জয়ী তারকার বার্ষিক বেতন ৩ কোটি ইউরো। সিটি বছরে ২ কোটি ইউরোর বেশি খরচ করতে রাজি নয়।
রোনালডো এরই মধ্যে ইউভেন্তাস ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন সামনের মাসে আর ক্লাবে থাকবেন না।
সিটির সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হলে ম্যানচেস্টারের নীল জার্সিতে তাকে দেখা যাবে শিগগির। যেই ক্লাবের জার্সিতে রোনালডোর উত্থান, সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকেরা বিষয়টি ভালোভাবে নেবেন না সেটা বলাই বাহুল্য।