জার্মান কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বায়ার্ন মিউনিখের কাছে গোলবন্যায় ভাসল ব্রেমার এসভি। জার্মান জায়ান্টদের কাছে ঘরের মাঠে লিগের রেকর্ড ১২-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে দলটি।
এর আগে জার্মান কাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি ছিল বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের। বিএসসি হাজটেডটের বিপক্ষে ২০০৮ সালে ১১-১ গোলের জয় পেয়েছিল দলটি।
গোলবন্যায় ভেসে যাওয়ার ম্যাচের পুরো সময়টাতেই এক প্রকারে অসহায় ছিল ব্রেমার। খেলার মাত্র ২৮ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের পায়ে। বাকিটা সময় নীরব দর্শকের মতোই খেলা দেখতে হয়েছে তাদের।
ব্রেমারের ওহিনভেস্ট ওয়েসারেস্টিডিওন স্টেডিয়ামে বুধবার মিউনিখের শিবিরে ছিলেন না রবার্ট লেভানডোস্কি ও ম্যানুয়েল নয়্যারের মতো তারকা খেলোয়াড়রা। কিন্তু তাতে সামান্যও কমেনি মিউনিখের আক্রমণের তেজ।
ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রেমারকে নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করে বাভারিয়ানরা। প্রথমার্ধের অষ্টম মিনিটেই লিড নেয় নাগেলসম্যানের শিষ্যরা। দলের হয়ে গোলের খাতা খোলেন এরিক চোপো।
প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে যেন গোলের নেশা পেয়ে বসেছিল তাকে। তিনি একাই করেন চার গোল। ম্যাচের ৮, ২৮, ৩৫ ও ৮২ মিনিটে গোলগুলো করেন ক্যামেরুনের এ ফরোয়ার্ড।
পঞ্চম টায়ারের দল ব্রেমারের জালে বল জড়াতে কার্পণ্য করেননি জার্মান মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালাও। ম্যাচের ১৬ মিনিটে দলকে দ্বিতীয় লিড এনে দেন এ মিডফিল্ডার।
ভাগ্য এ দিন পুরোই হাত গুটিয়ে নিয়েছিল ব্রেমারের ওপর থেকে। তারই প্রমাণ মেলে ২৭ মিনিটে লুকা ওয়ার্মের আত্মঘাতী গোলে। এতে করে ৩-০তে এগিয়ে যায় ২০ বারের শিরোপাজয়ী মিউনিখ।
এক মিনিট পরই লিওর সানের দুর্দান্ত এক অ্যাসিস্টে চতুর্থবারের মতো জালের ঠিকানা খুঁজে পায় বাভারিয়ানরা। এবারও গোলের কৃতিত্ব চোপোর।
৩৫ মিনিটে ব্রেমারের জালে ফের আঘাত হানেন চোপো। ফলে ৫-০তে লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে বাভারিয়ানরা।
দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের মাথায় পরপর গোলে ব্যবধান বাড়ান তিলম্যান ও মুসিয়ালা। ৬৫ মিনিটে অষ্টম গোলটি করেন লিওর সান।
এরপর ৮০ থেকে ৮৮ মিনিটে একের পর এক আক্রমণে ব্রেমারকে নাজেহাল করে ফেলে মিউনিখ।
৮০ মিনিটে কুইসেন্স, ৮২তে চোপো, ৮৬তে বুনো সার এবং ৮৮ মিনিটে তুলিসো ব্রেমারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। আর এতেই রেকর্ড গড়া জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাভারিয়ানরা।