চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে এর ট্রান্সক্রিপশন-পরবর্তী ভূমিকাবিষয়ক গবেষণার জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এই আবিষ্কার কোনো প্রাণীর দেহ গঠন ও কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোমে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস।
ভিক্টর অ্যাবব্রোস ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়া ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুয়েটসের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুসেটস মেডিক্যাল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাচারাল সায়েন্সের প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন।
নোবেল জয়ী গ্যারি রাভকুন ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি এখানেই জেনেটিকসের প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চিকিৎসাশাস্ত্রে গত বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন ক্যাথলিন কারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। এমআরএন করোনা টিকা আবিষ্কারের জন্য তাদেরকে পুরস্কার দেয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘নোবেল’, যা ১৯০১ সাল থেকে দেয়া হয়ে আসছে। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামানুসারে।
উনবিংশ শতকে এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হন। তিনি উইল করে যান যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই পাঁচ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।