পরিবেশক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে পার্টনার থাকলেও এসার পূর্ণাঙ্গ সব ধরনের সেবা দিতেই প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারত, বাংলাদেশ ও ভুটানের চিফ সেলস অফিসার (সিএসও) সঞ্জীব মেহতানি।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশে এসারের পথচলা শুরু হয় ২০০৯ সালে। সেই হিসাবে দেশে ১৫ বছরে পা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশে কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সঞ্জীব মেহতানি বলেন, এ দেশে এসারের একটা পূর্ণাঙ্গ সেটআপ তৈরি করতে কাজ চলছে। পরিবেশক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে পার্টনার থাকলেও এসার পূর্ণাঙ্গ সব ধরনের সেবা দিতেই প্রস্তুত।
আলাপচারিতায় উপস্থিত ছিলেন ভারত, বাংলাদেশ ও ভুটানের ন্যাশনাল ম্যানেজার প্রোগ্রাম অ্যান্ড সেলস অমিত কুমার সিং।
ওই সময় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও উন্নত সেবা দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে এসারের প্রযুক্তিপণ্য প্রসারের ক্ষেত্রে সুখবর আসছে বলে জানিয়েছেন সঞ্জীব মেহতানি।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৪৮ বছরের পথচলায় এসার এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কম্পিউটার ও প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ১৯৭৬ সালে এসার তার হার্ডওয়্যার ব্যবসা শুরু করলেও দিনকে দিন সেটি অন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দিকেও সমান তালে এগিয়েছে।
‘এখন হার্ডওয়্যারে পাশাপাশি সেটিকে টেকসই করতে নানা ধরনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এসার। ব্র্যান্ডটি প্রতিনিয়ত গবেষণা ও উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘এসার যেসব পণ্য বর্তমানে তৈরি করছে সেগুলো টেকসই ও পরিবেশবান্ধব। এসার ডিভাইসে ব্যবহৃত প্লাস্টিক, এমনকি ল্যাপটপ থেকে শুরু করে অন্য পণ্যের প্যাকেজিংয়ে যেসব পণ্য ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর সহজেই রিসাইকেল করা যায়।’
বাংলাদেশে ল্যাপটপসহ অন্যান্য ডিভাইস বিক্রির ক্ষেত্রে সবসময় একটি বড় প্রশ্ন থাকে তার বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহতানি জানান, বাংলাদেশে তাদের ব্যবসার অন্যতম মূলমন্ত্র উন্নত সেবা দেয়া। এসারের পণ্য বিক্রির পরও ওয়ারেন্টি সেবা দেয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলো। আর বিক্রয়োত্তর সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বয়ং এসার। এ ক্ষেত্রে পরিবেশক প্রতিষ্ঠান যদি এই সময়ের মধ্যে ব্যবসা গুটিয়েও ফেলে, তবু সেটার সেবা দিতে বদ্ধপরিকর এসার।
তিনি জানান, মানুষের দোরগোড়ায় বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে দেশে সাতটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করেছে এসার। এর বাইরে এখন রিপেয়ার সেন্টারের অবকাঠামো তৈরির কাজ চলছে।