‘ব্রেন ডেড’ এক ব্যক্তির শরীরের প্রতিস্থাপন করা হয়েছে শূকরের একটি কিডনি, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্বাভাবিকভাবেই এ কিডনি কার্যকর রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল্যাঙ্গোন ট্রান্সপ্লান্ট ইনস্টিটিউটের সার্জনরা এমন তথ্য দিয়েছেন বলে বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, বিজ্ঞানের আবিষ্কারে এ বিষয়টি নতুন মাত্রা যোগ করছে। আশা জাগাচ্ছে বহু মানুষের। জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় অঙ্গের সংকট মোকাবিলার প্রচেষ্টায় একটি প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণও এটি।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক রবার্ট মন্টগোমারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে জেনেটিক্যালি এডিট করা শূকরের কিডনি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকে।’
গবেষণার এ ফলাফল রোগীদের ভবিষ্যতের জন্য এক ধরনের নিশ্চয়তার পথ দেখাল বলেও মনে করেন তিনি। তার দাবি, গবেষণায় জিনগতভাবে শূকরের কিডনির এমন পরিবর্তন করা হয়, যেখানে মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে বাধা দেয়ার সমস্যা দূর করা হয়।
মন্টগোমারি বলেন, ‘আমরা এখন আরও প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। একজন মানুষের মধ্যে ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য কিছু পদ্ধতিও যোগ হয়েছে।’
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ক্রস-প্রজাতির প্রতিস্থাপনগুলো সম্ভাব্য জীবন রক্ষাকারী অঙ্গগুলোর জন্য অপেক্ষা করছেন এমন অনেক মানুষকে সাহায্য করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বহু মানুষের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন, যাদের মধ্যে ৮৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রয়োজন কিডনির। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এমন অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষা করতে করতে মারা যায়।
নতুন গবেষণা নিয়ে বিজ্ঞানীরা জানান, ৫৭ বছর বয়সী এক ব্রেন ডেড রোগীর দেহ হাসপাতালে দান করেছিল তার পরিবার। তাকে নিয়েই এই গবেষণা চালানো হচ্ছে।
গবেষকরা বলছেন, তারা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবেন। আশা করা হচ্ছে, মানুষকে বাঁচাতে প্রাণীর অঙ্গ ব্যবহার করার জন্য শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট অগ্রগতি হবে।