প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। আর এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগ হয়েছে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমান বিশ্বে এসব এখন খুবই জনপ্রিয়। তবে কখনও কখনও এসব যোগাযোগ মাধ্যম কারও জীবনে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। যেমন কারও ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক অথবা নষ্ট হয়ে গেল। আর সেই একাউন্টে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ছিলো যা আর কোথাও কপি করা নেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যবহারকারীদের এসব সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সাইবার স্পেস। সাইবার সিকিউরিটি হ্যাকার গ্রুপটি নিজ লক্ষ্যে অবিচল থেকে তিন বছর পার করে চতুর্থ বর্ষে পা দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আইটি বিশেষজ্ঞদের বিশাল একটি টিম।
সাইবার স্পেস (নিরাপত্তা) ফাউন্ডার মাসুম বিল্লাহ নাহিদ বলেন, ‘মূলত সাইবার অপরাধের কারণে অনেকের প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটে। এ ধরনের সমস্যায় মানুষকে সহযোগিতা করতে আমরা এই কার্যক্রম শুরু করি।
‘কেউ যেন অনলাইনে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে লক্ষ্যে আমাদের প্রতিটি কর্মী কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ২৫০ জনের বেশি মেম্বার নিয়ে একটি আইটি বিশেষজ্ঞ টিম রয়েছে যারা সব সময় মানুষকে বিভিন্ন অনলাইন রিলেটেড সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মটাকে নিরাপদ রাখা এবং সবাইকে একটি নিরাপদ ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম উপহার দেয়া।’
শুরুটা কিভাবে হয় জানতে চাইলে সাইবার স্পেস-এর এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমাদের টিমের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের ৫ আগস্ট মাসে। শুরুতে রাবির, মাহমুদুল, আজিজুর, মাসুদ, তানিম, তরিকুল, নিলয়, তোহিদ, আল আমিন, মুজাহিদ, সাজিদ, আনাস ও মকবুলসহ সারা দেশ থেকে বাচাইকৃত শতাধিক সাইবার বিষয়ক অভিজ্ঞ আইটি স্পেশালিস্ট নিয়ে কাজ করে সাইবার স্পেস নামক এই সোশ্যাল প্লাটফর্ম।’
‘নিরাপদ রাখা এবং মানুষকে অনলাইন সম্পর্কিত বিভিন্ন সাহায্য করা। এছাড়াও যদি কোনো দেশ আমাদের বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে আক্রমণ চালায় তাহলে আমরা তাদেরকে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে থাকি। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো বাংলাদেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখা এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিরাপদ থাকে সে জন্য কাজ করে যাওয়া।’