বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে এবার চাঁদের কক্ষপথে ছুটছে চন্দ্রযান ৩

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ জুলাই, ২০২৩ ১৪:০৩

পৃথিবীর বাঁধা ছিঁড়ে চাঁদের দিকে লাফ দেয়ার কথা চন্দ্রযান ৩-এর। ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অনেকটা গুলতি ছোড়ার মতো করে এটিকে ছুড়ে দেয়া হবে চাঁদের কক্ষপথের দিকে। তবে তার পর কী হবে, তা নির্ভর করছে নির্ভুল লক্ষ্যভেদের ওপর। লক্ষ্যচ্যুত হলেই মুশকিল।

পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথের দিকে রওনা হচ্ছে ভারতের চন্দ্রাভিযানের বাহন চন্দ্রযান ৩।

সোমবার রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এই যাত্রা শুরু হবে বলে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বরাতে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

এতদিন কার্যত ‘ঘরের’ কাছেই ছিল চন্দ্রযান ৩। এবার তার চেনা আওতা ছেড়ে বেরনোর পালা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পৃথিবীর বাঁধা ছিঁড়ে চাঁদের দিকে লাফ দেয়ার কথা চন্দ্রযান ৩-এর। ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অনেকটা গুলতি ছোড়ার মতো করে এটিকে ছুড়ে দেয়া হবে চাঁদের কক্ষপথের দিকে। তবে তার পর কী হবে, তা নির্ভর করছে নির্ভুল লক্ষ্যভেদের ওপর। লক্ষ্যচ্যুত হলেই মুশকিল।

ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন হলো এমন একটি বিষয় যেখানে যথাসময়ে চন্দ্রযান ৩-এর প্রপালশন চালু করে তার গতি অত্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হবে। যাতে সেটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাধা কাটিয়ে সোজা উড়ে যেতে পারে চাঁদের আকর্ষণ ক্ষেত্রে। কিন্তু বিষয়টা খুব সহজ নয়।

অনেক অঙ্ক কষে, পৃথিবীকে ঘিরে চন্দ্রযান ৩-এর কক্ষপথের কোন জায়গায় ওই প্রপালশন চালু করতে হবে তা নির্ধারণ করেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসাবের সামান্য গোলমালে চাঁদের আকর্ষণ ক্ষেত্রের বদলে চন্দ্রযান ৩ পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারে মহাশূন্যেও।

ইতোমধ্যেই পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে কক্ষপথের আয়তন ক্রমশ বাড়িয়ে নিয়েছে চন্দ্রযান ৩। গত ২৫ জুলাই পঞ্চম বারের জন্য এই কক্ষপথের আকারবৃদ্ধির কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।

এর ফলে চন্দ্রযান ৩ এখন পৃথিবীর আকর্ষণ ক্ষেত্রের মধ্যে থাকলেও সেখান থেকে সহজে বেরনোর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সোমবার আপাতত যথাসময়ে পৃথিবীর আকর্ষণের চৌহদ্দি ছেড়ে চন্দ্রযান ৩-এর বেরনোর অপেক্ষা।

বিবিসি জানিয়েছে, গত ১৪ জুলাই ভারত চাঁদের উদ্দেশে তৃতীয় অভিযান শুরু করে। ওই দিন দুপুরে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চাঁদের দিকে রওনা দেয় চন্দ্রযান ৩। একটি এলভিএম-৩ রকেট দিয়ে চাঁদের উদ্দেশে চন্দ্রযানটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়।

চন্দ্রাভিযানে রয়েছে একটি ল্যাণ্ডার ও একটি রোভার। ল্যাণ্ডার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে আর রোভার চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে।

ল্যাণ্ডারটি আগস্টের ২৩-২৪ তারিখে চাঁদের পিঠে নামার কথা। ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইয়ের নামে ল্যাণ্ডারটির নাম রাখা হয়েছে ‘বিক্রম’ আর রোভারটির নাম ‘প্রজ্ঞান’।

এই অভিযানে সফল হলে ভারত চতুর্থ দেশ হবে, যারা চাঁদের পিঠে পৌঁছাবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন চাঁদে নামতে সফল হয়েছে।

এর আগের অভিযানে ২০১৯ সালে ঠিক চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময়ে ল্যাণ্ডার-রোভারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে চন্দ্রযান ২ এর সেই অরবিটার এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বেস-স্টেশনে নিয়মিত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।

তৃতীয় চন্দ্রাভিযানে ল্যাণ্ডার-রোভারটির অবতরণ করার কথা চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে, যে জায়গাটি সম্বন্ধে এখনও বিস্তারিত জানা যায় না।চাঁদের পৃষ্ঠের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে চাঁদের বয়স আবিষ্কারেরও চেষ্টা হবে বলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

দিল্লির শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্সের শিক্ষক ড. আকাশ সিনহা বলছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের ঝুঁকি যেমন আছে, তেমনই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সম্ভাবনাও এই অঞ্চলেই বেশি।

চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই দক্ষিণ মেরু অংশেই ২০০৮ সালে জলের সন্ধান পেয়েছিল চন্দ্রযান ১।

এ বিভাগের আরো খবর