বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্মার্ট বাংলাদেশের চাবিকাঠি ডিজিটাল কানেকটিভিটি: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:১৭

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল কানেকটিভিটি। এর ভিত্তিতেই স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ গড়ে উঠবে।

ডিজিটাল কানেকটিভিটি তথা ইন্টারনেট সংযুক্তিকে স্মার্ট বাংলাদেশের চাবিকাঠি আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর ভিত্তিতেই বিনির্মাণ হবে স্মার্ট সমাজ।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে ডিডিওবার্তায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নানা পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় তিন দিনের এ মেলার আয়োজন করে।

এ উপলক্ষে দেয়া ভিডিওবার্তায় স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কানেকটিভিটির গুরুত্ব তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল কানেকটিভিটি। এর ভিত্তিতেই স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ তৈরি হবে।

বক্তব্যে ডিজিটাল পণ্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি। সে লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।

সরকারের লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অফ থিংস, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, রোবোটিকস ও বিগ ডেটার মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়। তিনি বলেন, সরকার শিল্পাঞ্চলগুলোতে ফাইভজি সেবা নিশ্চিত করতে চায়।

ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙ্গামাটি জেলার বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন স্থাপন করেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনী অঙ্গীকারে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। সরকার ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করেছে, যা সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

দেশে মোবাইল ব্যবহার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডিজিটাল বৈষম্য এবং দামের পার্থক্য দূর করা হয়েছে।’

প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “সারা দেশে ‘এক দেশ এক দরের’ একটি সাধারণ শুল্ক চালু করা হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ খাতে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৪ ক্যাটাগরিতে ২২ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নতুন প্রবর্তিত পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর