বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্ত্রী সাপেরও আছে ক্লিটোরিস

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:৪৯

স্ত্রী সাপের ক্লিটোরিস নিয়ে গবেষণা চালানো বিজ্ঞানীদের মতে, পুরুষ সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে গবেষণা হলেও স্ত্রী সাপের এই ব্যাপারটি কখনও গবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে না। ফলে আড়ালে থেকে যায় সব তথ্য।

স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে এবার ভিন্ন তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা। এতদিন ধরে বলে আসা কথা পাল্টিয়ে এই প্রাণীর শরীরে সংবেদনশীল অঙ্গ ক্লিটোরিস থাকার কথা জানালেন তারা।

অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষকের দেয়া এ তথ্যের মাধ্যমে স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গের প্রথম সঠিক শারীরবৃত্তীয় বর্ণনা প্রকাশ্যে এলো বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি

গবেষকরা বলছেন, অন্য সরীসৃপের মতো স্ত্রী ও পুরুষ সাপের কোনো দৃশ্যমান বাহ্যিক যৌনাঙ্গ নেই। পুরুষদের একটি হেমিপেনিস (জোড়া লিঙ্গ) থাকে, যা শরীরের অভ্যন্তরে (ক্লোকাতে) শিথিল থাকে এবং উত্থানের সময় লেজের গোড়ায় দ্বিগুণ পুরু হয়ে যায়। যৌন উদ্দীপনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ক্লিটোরিস।

স্ত্রী সাপের ক্লিটোরিস নিয়ে গবেষণা চালানো বিজ্ঞানীদের মতে, পুরুষ সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে গবেষণা হলেও স্ত্রী সাপের এই ব্যাপারটি কখনও গবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে না। ফলে আড়ালে থেকে যায় সব তথ্য।

তাদের ভাষ্য, এমন না যে, এর গবেষণা করা যাচ্ছিল না। বিজ্ঞানীরা সত্যিকার অর্থে এটি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না।

সাপের যৌনজীবন নিয়ে কাজ করা গবেষণা দলের প্রধান গবেষক মেগান ফলওয়েল বলেন, স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে গবেষণা হওয়া অনেকটা নিষিদ্ধই ছিল। বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা করছিলেন না। এর ফলে সাপের যৌন সম্পর্ক নিয়ে ভুল তথ্য ছিল মানুষের মনে।

এ অবস্থায় চালানো হয় গবেষণা। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে প্রসিডিংস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে জানানো হয়, একটি স্ত্রী সাপের লেজে ক্লিটোরিস শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, সাপের দুটি পৃথক ক্লিটোরিস থাকে। হেমিক্লিটোরস টিস্যু দ্বারা পৃথক করা হয় এই ক্লিটোরিস, যা থাকে লেজের নিচে লুকানো অবস্থায়।

দ্বিপ্রাচীরের অঙ্গটি ইরেক্টাইল টিস্যুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্নায়ু এবং লোহিত রক্তকণিকা দ্বারা গঠিত বলে জানিয়েছেন তারা।

মেগান ফলওয়েল কীভাবে এই গবেষণায় আগ্রহী হয়ে উঠলেন বলেছেন সে প্রসঙ্গও। তিনি জানান, সাহিত্যে স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গ বিষয়ে পড়ে এ বিষয়ে আগ্রহ জন্মায়।

এই গবেষক বলেন, আমি জানি এই ক্লিটোরিস অনেক প্রাণীর মধ্যে আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে এটা সব প্রাণীর মধ্যে থাকবে। আমাকে কেবল একবার দেখতে হয়েছিল বিষয়টি।

ফলওয়েল ও তাদের দলের গবেষণা সাপের যৌন সম্পর্ক ও স্ত্রী সাপের যৌনাঙ্গ নিয়ে নতুন করে তথ্য দিল।

ফলওয়েল বলেন, এতদিন বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন, সাপের যৌনতার ব্যাপারটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জবরদস্তির। এ ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করে পুরুষ সাপই। এর কারণ হলো পুরুষ সাপগুলো সাধারণত শারীরিকভাবে বেশ আক্রমণাত্মক আর স্ত্রী সাপগুলো শান্ত।

তবে এখন ক্লিটোরিসের সন্ধান পাওয়ায় স্ত্রী সাপের যৌন সম্পর্কে আগ্রহী হওয়ার তথ্যও সামনে আসছে বলে মনে করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর