স্মার্টফোনের অন্যতম জনপ্রিয় ফিচার কল রেকর্ডিং। কল এলে অথবা কল করলে সেই কথোপকথন রেকর্ড করা যায় এই ফিচারের মাধ্যমে। সব ধরনের স্মার্টফোনে বিল্টইন কল রেকর্ডিং সিস্টেম আছে।
তবে এই ফিচারের আছে বেশ কিছু অসুবিধাও। গোপনে কল রেকর্ড করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে যে কেউ। সে কারণে বিশ্বের অনেক দেশে অনুমতি ছাড়া কল রেকর্ডিং বেআইনি। ফোনের অন্য প্রান্তের মানুষটির অনুমতি নিয়ে তবেই কল রেকর্ডিং করা যায় সেখানে।
আমাদের দেশে এ ধরনের কোনো আইন নেই। তাই এখানে হরহামেশাই কল রেকর্ডিং চলে।
গোপনে কেউ আপনার কথা রেকর্ড করছে কি না জানার সহজ কোনো উপায় নেই। তবে কল রেকর্ড করলে বেশির ভাগ সময় ফোনের অন্য প্রান্তে বিশেষ বিপ সাউন্ড শোনা যায়। এই শব্দ শুনলেই বুঝবেন, আপনার কল রেকর্ড হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর কলের মধ্যে এই শব্দ শোনা যাবে। এ ধরনের শব্দ শুনলে সতর্ক হতে হবে। এমন কিছু বলবেন না যা রেকর্ড হলে ভবিষ্যতে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।
সম্প্রতি সব ধরনের কল রেকর্ডিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে গুগল। তাই প্লে স্টোরে এখন এমন কোনো অ্যাপ নেই, যা কল রেকর্ড করতে পারে। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিল্ট ইন কল রেকর্ডার ব্যবহার করে কল রেকর্ড করা যায়। সে ক্ষেত্রে ফোনের অন্য প্রান্তের মানুষটিকে জানিয়ে তবে শুরু হবে রেকর্ডিং।
গুগলের মতে গোপনে কল রেকর্ডিং গ্রাহকের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। এই কারণে না জানিয়ে কল রেকর্ডিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে আমেরিকান সংস্থাটি।
ট্রু কলার এর মতো থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে আগে কল রেকর্ড করা সম্ভব হলেও এখন আর তা করা যাচ্ছে না।
যদিও পুরোনো কিছু ফোনের ডায়ালারে এখনও কল রেকর্ডিং ফিচার আছে। এসব ফোনের ডিফল্ট ডায়ালার থেকে কল রেকর্ড করলে অপর প্রান্তের ব্যক্তি কিছুই টের পাবেন না।
এই কারণে ফোনে কথা বলার আগে সাবধান হতে হবে। এমন কিছু ফোনে না বলা ভালো, যা রেকর্ড হলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।