চন্দ্রাভিযান শেষে পৃথিবীর দিকে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশযান ওরিয়ন।
নাসা জানিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথ ছেড়ে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরে এসেছে ওরিয়ন। রোববার প্রশান্ত মহাসাগরে এসে পড়বে এটি।
ওরিয়নের চন্দ্রযাত্রাটি ছিল পরীক্ষামূলক। এতে কোনো নভোচারী ছিলেন না, তবে স্পেসক্রাফটে মানবদেহের তিনটি মডেল রাখা ছিল, যেগুলোতে হাজার হাজার সেন্সর যুক্ত ছিল।
পুরো যাত্রায় মানব শরীরের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা যাচাই করে দেখতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্টেমিস প্রকল্পের অংশ ছিল ওরিয়নের মহাকাশযাত্রা। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ১৬ নভেম্বর ওরিয়ন উৎক্ষেপণ করেছিল নাসা। ২০ দিনের মধ্যে চাঁদের যাত্রা শেষ করে এ মহাকাশযান।
নাসা জানায়, আর্টেমিস-১ প্রকল্পের আওতায় নভোচারী ছাড়াই ওরিয়নকে চাঁদে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
আর্টেমিস-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালের শেষে নভোচারীসহ মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। আর আর্টেমিস-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ বছর পর মানুষ চাঁদে অবতরণ করবে বলে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ওই মহাকাশ যান ২০২৫ অথবা ২০২৬ সালে উৎক্ষেপণ করা হবে।
এসব পরিকল্পনা নির্ভর করছে ওরিয়নের ঠিকঠাকভাবে পৃথিবীতে ফেরার ওপর। এরই মধ্যে ওরিয়ন পৃথিবী থেকে প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার ওপরে গিয়ে চাঁদের ছবি পাঠিয়েছে। এটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার ওপরে ছিল।
ওরিয়ন ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৩৯ হাজার কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ফিরছে, যেটি সাধারণ মহাকাশযানের চেয়ে অনেক বেশি গতির। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে স্থানীয় সময় ১১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় অবতরণ করবে ওরিয়ন। এর গতি কমাতে ১১টি প্যারাশুট মোতায়েন করা হয়েছে।