বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছয় মাস মহাকাশে কাটিয়ে চীনে নামলেন ৩ নভোচারী

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:০৮

চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী লিউ ইয়াং বলেছেন, মহাকাশ স্টেশনে আমার অবিস্মরণীয় স্মৃতি রয়েছে। মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।

চীনের মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাসের অভিযান শেষে ফিরলেন তিন নভোচারী।

পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় মহাকাশ স্টেশন তিয়ানহ থেকে স্থানীয় সময় রোববার তারা চীনের মাটিতে নামেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি

গত ৫ জুন মহাকাশ স্টেশনটির নির্মাণসহ নানা বিষয় পর্যবেক্ষণে যান এই নভোচারীরা। অভিযান শেষে মহাকাশযান শেনঝৌতে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইনার মঙ্গোলিয়ায় পৌঁছান তারা।

নভেম্বরে এই স্টেশন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিসিটিভিতে প্রচারিত অডিওতে নভোচারী কমান্ডার চেন ডং, লিউ ইয়াং ও কাই জুজে বলেছেন, অবতরণের পর তারা সুস্থ বোধ করছেন।

চীনের স্পেস এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৯ ঘণ্টার যাত্রা শেষে ভালোভাবে ফিরে এসেছেন তিন নভোচারী। অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী লিউ ইয়াং বলেছেন, মহাকাশ স্টেশনে আমার অবিস্মরণীয় স্মৃতি রয়েছে। মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।

এর আগে গত বছরের জুনে একই মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে সেপ্টেম্বরে ফিরে আসেন চীনের তিন নভোচারী। ৯০ দিন তারা সেখানে কাটিয়েছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সফল এই অভিযানের ফলে মহাকাশে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠল চীন।

মহাকাশে থাকাকালীন নভোচারীরা পৃথিবীতে পরীক্ষামূলকভাবে তথ্য সরবরাহ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাসহ দৈনন্দিন নানা কাজ সম্পন্ন করেছেন।

মহাকাশ স্টেশনটির কেন্দ্রীয় অংশ তিয়ানহে মডিউলে প্রত্যেক নভোচারীর জন্য পৃথক থাকার জায়গা, মহাকাশে চলতে সক্ষম বিশেষ নকশার ট্রেডমিল-বাইসাইকেলসহ শরীরচর্চাকেন্দ্র ইত্যাদি রয়েছে।

গত কয়েক বছরে মহাকাশ গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বেইজিং। এমনকি বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের সবচেয়ে দূরের অংশে একটি রোবটচালিত রোভারও পাঠিয়েছে তারা।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অংশ নেই বলে নিজস্ব মহাকাশ কেন্দ্র নির্মাণ করতে হয়েছে চীনকে।

এ বিভাগের আরো খবর