৪৮ কোটি ৭০ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সাইবার নিউজ। এক প্রতিবেদনে তারা বলেছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮৪টি দেশের সক্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য রয়েছে সেখানে।
হ্যাক করা তথ্য বিক্রির জন্য অনলাইনে তোলা হয়ছেন। সাইবার নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু আমেরিকান নাগরিকদের ডেটাবেজটি কিনতে চাইলে হ্যাকারকে সাত হাজার ডলার দিতে হবে। অন্যদিকে ব্রিটেনের ডেটাসেটের দাম হাঁকা হয়েছে ২৫০০ ডলার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৯ জন বাংলাদেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য হ্যাকারের হাতে রয়েছে। এগুলো কত দামে বিক্রি করা হবে, সেটা জানা যায়নি।
তথ্য বিক্রিকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রমাণ হিসেবে ১০৯৭টি নম্বর শেয়ার করেছে। সাইবার নিউজ নম্বরগুলো পরীক্ষা করে দেখেছে, সেগুলো সবই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের।
এটাই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির ঘটনা।
বাংলাদেশ ছাড়াও মিসর, ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও ভারতের লাখ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে, যা অনলাইনে বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছে।
স্প্যামিং, ফিশিং, আইডেন্টিটি থেফট এবং অন্যান্য সাইবার অপরাধ কার্যকলাপের জন্য এই ডেটাবেজ ব্যবহার করতে পারে হ্যাকাররা।
নিজের নম্বর হ্যাকারের লিস্টে আছে কি না, সেটা জানার কোনো উপায় আপাতত নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার অন্যতম প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ। এর আগেও একবার হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটে। সেবার ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে ছিল ফোন নম্বর, ব্যবহারকারীর নাম, অবস্থানসহ অন্যান্য তথ্য।