টুইটারের মালিকানা নেয়ার পর একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে কর্মীদের বিপত্তির মুখে পড়া ইলন মাস্ক এবার প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
কর্মীদের সঙ্গে সোমবার এক বৈঠকে তিনি এই ঘোষণা দেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
আগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) সরিয়ে নিজেই এই পদে আসা ধনকুবের ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, প্রযুক্তি ও বিপণন বিভাগে কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। তবে পদের সংখ্যা উল্লেখ করেননি তিনি।
এমন একদিনে ইলন কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিলেন, যেদিন বিপণন বিভাগে কর্মী ছাঁটাই হবে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
টুইটারপ্রধান জানান, যারা দক্ষ তারাই আসলে টুইটারের ওই পদের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। তবে কতজন নিয়োগ দেয়া হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
একই সঙ্গে সান ফ্রান্সিসকো থেকে টুইটারের কার্যালয় টেক্সাসে সরিয়ে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই বলেও জানান তিনি।
নানা ঘটনার পর গত ২৭ অক্টোবর টুইটার কেনেন ইলন মাস্ক। প্রথমেই এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরাগ আগারওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগাল এবং আইন ও নীতিবিষয়ক প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে চাকরিচ্যুত করেন তিনি। একে একে তিনি সব মিলিয়ে সাড়ে ৭ হাজার কর্মীর দুই-তৃতীয়াংশই ছাঁটাই করেছেন।
কর্মীদের জন্য বিনা মূল্যে খাবারের যে ব্যবস্থা ছিল, তা বন্ধ করে দিয়েছেন ইলন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কেনার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী ছাঁটাইসহ নানা পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তিনি ওই ঘোষণা দেন।
বৈঠকে টুইটারে ইলন মাস্ক কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সামনে কঠিন সময় আসছে। বাসায় বসে আর কাজ করার সুযোগ নেই। অফিসে ফ্রি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।’
টুইটার অফিসে ফ্রি ওয়াইফাই সেবাও বন্ধ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত যারা মেনে নেবেন, তারাই এখানে চাকরি করতে পারবেন। না চাইলে পদত্যাগ করতে পারেন।
এতদিন একই সঙ্গে তিনটি প্রতিষ্ঠানপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন। সবশেষ দায়িত্ব নেন টুইটারের।