বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আর্টেমিসে ৯২ হাজার কি.মি. দূর থেকে পৃথিবীর ছবি

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:৪৭

দুই দফা ব্যর্থ হওয়ার পর চাঁদে বাণিজ্যিকভাবে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে নাসা। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বুধবার সকালে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

চাঁদ অভিমুখী নাসার মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ৯ ঘণ্টার কম সময়ে এটির ক্যাপসুল ওরিয়ন তার অবস্থান থেকে পৃথিবী এবং ক্যাপসুলের ভেতরের ছবি পাঠিয়েছে। ৯২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে পৃথিবীকে ছোট একটি বিন্দুর মতো দেখায়।

স্পেস লঞ্চ সিস্টেম বা এসএলএস ব্যবস্থার সাহায্যে ক্যাপসুল ওরিয়ন ৬ দিনের সফর শেষে চাঁদের চারপাশের কক্ষপথে পৌঁছাবে ২১ নভেম্বর। চন্দ্রপৃষ্ঠের ১০০ কিলোমিটার উপর থেকে পরের ১০ দিনে চাঁদে মানুষের টিকে থাকার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে ওরিয়ন।

নাসার এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে মিশন আর্টেমিস ওয়ান। এটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। তাই এতে কোনো মানুষ থাকছে না। সফল হলে, পরবর্তী উৎক্ষেপণে মহাকাশযানটির ক্যাপসুলে থাকবেন মহাকাশচারী।

ছবি তোলার সময় ক্যাপসুলটি পৃথিবী থেকে ৫৭ হাজার মাইল (৯২ হাজার কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিল; ক্যাপসুলটি প্রায় ৫ হাজার ৫০০ মাইল (৮ হাজার ৮০০ কিলোমিটার) বেগে তখন চাঁদের দিকে ছুটছিল।

As @NASA_Orion begins the #Artemis I mission to the Moon, the spacecraft captured these stunning views of our home planet. pic.twitter.com/Pzk3PDt7sd

— NASA Artemis (@NASAArtemis) November 16, 2022

ক্যাপসুল থেকে সরাসরি সম্প্রচারের দৃশ্য নাসার ওয়েবসাইটে শেয়ার করার সময় নাসার মুখপাত্র স্যান্ড্রা জোনস বলেন, ‘পৃথিবীর এই দৃশ্য মানববহনে সক্ষম একটি মহাকাশযান থেকে ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো মিশনের পর এটা দেখা যায়নি।

‘মহাকাশের অন্ধকারে নীল মার্বেলের (পৃথিবী) দৃশ্য নতুন প্রজন্মের কল্পনার বাস্তব রূপ…দ্য আর্টেমিস জেনারেশন।’

সেলফির পাশাপাশি ক্যাপসুলের ভেতরের একটি দৃশ্যও প্রকাশ করেছে নাসা। এতে কমলা স্যুটে কমান্ডার মুনিকিন ক্যাম্পোসকে (তথ্য সংগ্রহকারী রোবট) দেখা যায়। অভিযান সফল হলে মহাকাশচারীরা পরবর্তী ফ্লাইটে এই স্যুট পরে চাঁদ ভ্রমণে যাবেন।

ওরিয়ন ক্যাপসুলের ভেতরের একটি দৃশ্য

এ ছাড়া ভেতরের দৃশ্যে ‘ক্যালিস্টো এক্সপেরিমেন্ট’ দেখা যায়। কীভাবে বাণিজ্যিক প্রযুক্তি ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের গভীর মহাকাশ অভিযানে সহায়তা করতে পারে, এটি দেখার জন্য এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার হয়েছে অভিযানে। এই ছবির ডানে ওরিয়নের একটি জানালা দেখা যায়।

নাসা জানায়, অন্য দুটি ক্যামেরা মহাকাশযানের ভেতরে অবস্থিত; একটি ক্যাপসুলের সামনের জানালার বাইরের দিকে মুখ করা, অন্যটি হ্যাচ উইন্ডোর ঠিক ওপরে বাইরের দিকে তাক করা। ‘সেলফির’ বাঁ দিকে ওরিয়ন ক্যাপসুলের পাশাপাশি অরবিটাল ম্যানুভারিং সিস্টেমকে (ওএমএস) দেখা যায়। ওএমএস হলো স্পেস শাটলে ব্যবহৃত হাইপারগোলিক লিকুইড-প্রপেলান্ট রকেট ইঞ্জিনগুলোর একটি ব্যবস্থা। বিশাল এই ইঞ্জিনের সাহায্যে ক্যাপসুল ওরিয়ন চাঁদের চারপাশে ঘুরে বেড়াবে।

এ ছাড়া ছবিতে ক্যাপসুলের একটি সোলার প্যানেলও ধরা পরেছে। বলা হচ্ছে, বাহনটিতে চারটি সোলার প্যানেল রয়েছে; যেগুলো আড়াআড়িভাবে সাজানো।

পৃথিবীতে পাঠানো ছবিটি এই চার সোলার প্যানেলের একটির মাধ্যমে তোলা হয়েছে। নাসা এগুলোর নাম দিয়েছে ‘সোলার অ্যারে উইংস’ সংক্ষেপে এসএডব্লিও।

ওরিয়ন প্রোগ্রামের কর্মকর্তা ডেভিড মেলেন্দ্রেজ বলেন, ‘ওরিয়নে চারটি সোলার অ্যারে (ডেটা স্ট্রাকচার) উইং আছে। প্রতিটিতেই একটি করে উন্নত প্রযুক্তি ক্যামেরা যুক্ত আছে; এগুলোকে মহাকাশে ব্যবহারের জন্য পরিবর্তিত করা হয়েছে। এ কারণে এ ক্যামেরাগুলো মহাকাশযানের বাইরের অংশের ছবি তুলতে পারে।’

আর্টেমিস ওয়ানের স্পেসক্রাফট মোট পাঁচ দিন চাঁদের চারপাশে ঘুরবে। সোমবার চাঁদের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে। যাত্রাপথ বদলের আগে সেখানে কিছুদিন অবস্থান করে চাঁদের মাটিতে নামার সম্ভাব্য স্থানগুলো চিহ্নিত করবে এটি। ২৫ দিনের অভিযানের সমাপ্তি ঘটবে ১১ ডিসেম্বর।

এ বিভাগের আরো খবর