বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্ঘটনার তথ্য স্বজনদের জানাবে ‘লাইফ ট্র্যাকার বিডি’

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:২৭

দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার ফলে বা আঘাতের ফলে যে কম্পন তৈরি হবে, তার কারণে মোবাইল ডিভাইসের মোশন সেন্সরটি সক্রিয় হবে। আর তখনই আগে থেকে নির্ধারিত নম্বরে চলে যাবে ফোন কল ও এসমএস। এ জন্য ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে কল করার মতো ব্যালান্স থাকতে হবে।

দুর্ঘটনা কখনও বলে কয়ে আসে না। আর দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই হয়ে পড়েন হতভম্ব। তখন স্বজনদেরকে তথ্য জানাতে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার অবস্থাও থাকে না।

এসব বিষয় মাথায় রেখেই দেশে বাংলাদেশের কয়েকজন সফটওয়্যার প্রোগ্রামার একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছেন, যেটি সড়ক দুর্ঘটনার পর স্বজনদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা পাঠাবে।

এটির নাম দেয়া হয়েছে ‘লাইফ ট্র্যাকার বিডি’। উদ্ভাবকরা বলছেন, এটি জীবনরক্ষাকারী অ্যাপ।

বার্তা বা কলটি কার কাছে যাবে, সেটি অ্যাপ ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারীকে ঠিক করে দিতে হবে। অবশ্য প্রয়োজন পড়লে যে কোনো সময় তা পাল্টানোর সুযোগও রয়েছে।

এই অ্যাপ থেকে বার্তা পাঠাতে ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকার বাধধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন উদ্বাবনে নেতৃত্ব দেয়া আব্দুল করিম রানা।

তিনি বলেন, ‘মূলত মোশন ডিটেক্টরের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত আত্মীয়/বন্ধু/প্রিয় ব্যক্তিদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ফোন কল ও এসএমএস চলে যাবে।’

মোশন ডিটেক্টর কীভাবে কাজ করবে, তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার ফলে বা আঘাতের ফলে যে কম্পন তৈরি হবে, তার কারণে মোবাইল ডিভাইসের মোশন সেন্সরটি সক্রিয় হবে। আর তখনই আগে থেকে নির্ধারিত নম্বরে চলে যাবে ফোন কল ও এসসমএস।’

মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও কিছু ব্যালেন্স রাখার পরামর্শ দিয়েছে রানা। তিনি বলেন, ‘তবে মোবাইল অন্তত একটি ফোন কল বা এসএমএস পাঠানোর মতো ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে। তাহলেই এটি যে কোনো সময় যেকোনো অবস্থান থেকে দুর্ঘটনার বার্তা পাঠাতে পারবে।’

নিত্যদিনের জীবনে শিশু এবং নারীর নিরাপত্তার কথা ভেবে আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যও যুক্ত করা হয়েছে অ্যাপটিতে। কোনো নারী বা শিশু বা যে কেউ কোনো পরিস্থিতিতে যদি অনিরাপদ অনুভব করেন, সেক্ষেত্রে মোবাইল ডিভাইসের ভলিউম বাটনটি পরপর ২/৩ প্রেস করলে পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন কল বা এসএমএস চলে যাবে।

অ্যাপটিতে আরও কিছু জরুরি পরিষেবা থাকছে। এগুলোর মধ্যে আছে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশ সেবা।

রানা বলেন, ‘একজন ব্যবহারকারী যখন যেখানে অবস্থান করবেন, তার নিকটস্থ থানা, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কিংবা অ্যাম্বুলেসা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নম্বরগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে।’

অ্যাপটি ব্যবহারে কোনো অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা। শুধু গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘লাইফ ট্র্যাকার বিডি’ অ্যাপটি খুঁজে ইনস্টল করা যাবে।

রানা বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক পেলে এটিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও আধুনিক করা হবে।’

আগামীতে অ্যাপলের আইফোন ব্যবহারকারীদের কথা ভেবে অ্যাপটি আইস্টোরেও পাওয়ার যাবে বলে জানান তিনি।

রানা বলেন, ‘প্রায় দুই বছরের গবেষণার পর অ্যাপটি ডেভেলপ করা হয়েছে। যাতে ত্রুটি বিচ্যুতি মুক্ত থাকে।’ এ বিষয়ে www.lifetrackerbd.com ওয়েবসাইটটে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর