কম্পিউটার প্রোগামিং সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য প্রতিযোগিতা ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট বা আইসিপিসির ৪৫তম আসর এবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আইসিপিসি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা।
রোববার থেকেই প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়েছে। যেখানে বিশ্বের ৭০টি দেশ থেকে ১৩৭ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন।
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের প্রতিযোগিতার বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
আইসিটি বিভাগের নেতৃত্বে আইসিপিসির ৪৫তম আসরের নির্বাহক এজেন্সি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
বাংলাদেশে প্রতিযোগিতার আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)। আগামী ৮ নভেম্বর দুপুর থেকে এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন শুরু হবে।
গত বছর ৪৪তম আইসিপিসি প্রতিযোগিতায় এশিয়া-পশ্চিম অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েট।
এ বছর ৭০টি দেশ থেকে প্রায় ১৩৭টি দলের মেধাবী প্রতিযোগীরা এই কনটেন্টের চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নিচ্ছেন। আইসিপিসি আঞ্চলিক পরিচালকরা ঢাকার বিভিন্ন সিম্পোজিয়ামসহ সেমিনারে অংশ নেবেন।
ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে এবারের ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকা ২০২২’। কনটেন্টের মূল প্রবলেম সলভিং অংশটি অনুষ্ঠিত হবে ১০ নভেম্বর। যেখানে ৬ ঘণ্টার মধ্যে অংশগ্রহণকারীরা সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন তাদের দক্ষতা ও মেধার মাধ্যমে। আয়োজনটির চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করা হবে ১০ নভেম্বর।
এশিয়ার মধ্যে চীন, জাপান, থাইল্যাল্ডের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে এবারই প্রথম আইসিপিসির আয়োজক হিসেবে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ১৯৯৮ সাল থেকে আইসিপিসিতে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক থেকে আটটি দল এবার প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।
চূড়ান্ত পর্বকে লক্ষ্য করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ বছরের অক্টোবর মাসে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ। এবারের আয়োজনেও বাংলাদেশ থেকে ভালো অর্জন আশা করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং আইসিপিসি নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি পাউচার।
এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ কনটেস্টের পরিচালক ড. মাইকেল জে ডোনাহ্, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান, হুয়াওয়ের করপোরেট কমিউনিকেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ড ভিকি ঝ্যাং জেট ব্রেইনের বিনিয়োগ বিভাগের এসভিপি এবং গবেষণা ও শিক্ষাবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অন্তে ইভ্যানভ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার উপস্থিত ছিলেন।