স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দেয়ার খবর বেশ পুরনো। অবশ্য সে খবরের সত্যতা নিয়েও আছে প্রশ্ন। তবে এবার আর গল্প বা কাগুজে ব্যাপার নয়, চাঁদ কেমন জায়গা তা দেখাতে স্ত্রীকে নিয়ে রওনা হচ্ছেন ৮২ বছর বয়সী ডেনিশ টিটু।
ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটে করে এই চন্দ্রযাত্রা হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
স্পেসএক্স বলছে, ডেনিশ ও তার স্ত্রী আকিকো চাঁদে যাওয়ার জন্য এরই মধ্যে চুক্তিসম্পন্ন করেছেন। এই যাত্রার মেয়াদ প্রায় এক সপ্তাহ। এ সময়ের মধ্যে তাদের বহনকারী রকেটটি চাঁদের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে ঘোরাঘুরি করবে।
তবে চাঁদে নেমে হাঁটতে পারবেন না ভ্রমণকারীরা। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে না স্টারশিপের রকেট।
কবে এই চন্দ্রাভিযান শুরু হতে পারে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি স্পেসএক্সের পক্ষে। তবে আগামী মাসে এ রকেটের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
২০০১ সালে দুই কোটি ডলার খরচ করে রাশিয়ার একটি মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন ডেনিশ টিটো। প্রায় আট দিন এই ভ্রমণে কাটিয়েছিলেন তিনি।
নিজের অর্থ খরচ করে মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া প্রথম পর্যটক হিসেবে পরিচিত ডেনিশ টিটো যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বছর দুয়েক আগে ৫৭ বছর বয়সী আকিকোর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
সিবিএস মর্নিংকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডেনিশ বলেন, ‘মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার পর গত ২০ বছর ধরে আমি চাঁদে যাওয়ার ব্যাপারে ভাবছি।’
এই দম্পতির চন্দ্রযাত্রায় কত খরচ হতে পারে সে বিষয়ে স্পেসএক্স বা ডেনিশের পক্ষ থেকে কেউই কিছু জানাননি।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই ভ্রমণসম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন ডেনিশ-আকিকো দম্পতি।
বেসরকারি রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের রকেটে এর আগে ২০১৮ সালে চন্দ্রাভিযানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাপানের অনলাইন ফ্যাশন জগতের কোটিপতি ইউসাকু মেসাওয়া।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্পেসএক্স ক্যাপসুলে করে তিন দিন মহাশূন্যে কাটানোর পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসেন চার শৌখিন নভোচারী। সেটিই ছিল বেসামরিক লোকদের দিয়ে তৈরি প্রথম নভোচারী দল।