গুগল প্লে স্টোরে যুক্ত হতে যাচ্ছে ডনাল্ড ট্রাম্পের আনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের অ্যাপ্লিকেশন। এতদিন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্রাউজারে, অ্যাপল স্টোরে, এপিকে ফাইল আকারে পাওয়া যেত।
টুইটার কিংবা ফেসবুকে ট্রাম্পের কোনো প্রোফাইল না থাকায় ট্রাম্পকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসরণ করার একমাত্র উপায় ট্রুথ সোশ্যাল। এখন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা আরও সহজে ট্রুথ সোশ্যাল ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া প্লে স্টোরে আসাতে ট্রুথ সোশ্যাল ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়বে।
অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠান গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের গুগল স্টোরে খুব শিগগিরই যুক্ত হতে যাচ্ছে ট্রুথ সোশ্যাল- এমনটাই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের একজন মুখপাত্র।
গুগলের পক্ষ থেকেও বুধবার বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই অ্যাপটি প্লে স্টোরে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প মিডিয়া আন্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল পরিচালনা করে থাকে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আইওএসের অ্যাপল স্টোরে ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাপ চালু হয়।
গত আগস্টে গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিল, গুগল তার প্লে স্টোরের নীতিমালা অনুসারে ট্রুথ সোশ্যালের কাছে আহ্বান জানিয়েছিল, যাতে তারা শারীরিক হুমকি ও সহিংসতার প্ররোচনার মতো বিষয়বস্তু নিষিদ্ধ করে।
গুগল বা অ্যাপল স্টোর ছাড়া বেশির ভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ট্রুথ সোশ্যাল ডাউনলোড করার কোনো সহজ উপায় নেই।
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ডাউনলোড করার সহজতম উপায় হলো গুগলের প্লে স্টোর। এ ছাড়া ট্রুথ সোশ্যালের এপিকে ফাইল ডাউনলোড করেও ইনস্টল করার সুযোগ রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ ও নিরাপত্তা অনুমতির প্রয়োজন হয়।
আমেরিকায় ব্যবহৃত স্মার্টফোনের ৪০ শতাংশই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোন।
‘ট্রুথ সোশ্যাল’ অনেকটা টুইটারের অনুকরণে তৈরি। সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবচেয়ে পছন্দের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল টুইটার। তবে সহিংসতাকে উসকে দেয়ার অভিযোগে তিনি এই প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফেসবুকও একই ব্যবস্থা নেয়।
এরপরই বিকল্প সামাজিকি যোগাযোগমাধ্যম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেন ট্রাম্প। এরপরই চালু হয় ট্রুথ সোশ্যাল।