যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পেছানো হলো নাসার চন্দ্র অভিযান। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৩) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) উৎক্ষেপণের কথা ছিল।
বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের আগে রকেটের চারটি ইঞ্জিনের একটিতে সমস্যা দেখা দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জটিলতা কাটিয়ে উঠতে না পারায় উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আগামী ২ বা ৫ সেপ্টেম্বর ফের উৎক্ষেপণের চেষ্টা হতে পারে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে পৌঁছে রকেটটি একটি টেস্ট ক্যাপসুল বিযুক্ত করবে। সে অনুযায়ী, স্পেস লঞ্চ সিসটেমে স্থাপন করা হয় ক্যাপসুল-ওরিয়ন। জ্বালানিসহ অন্যান্য নির্ধারিত কাজও শেষ হয়েছিল। বিপত্তি বাধে উৎক্ষেপণের কিছু আগে।
নাসা জানায়, রকেটের যে অংশ তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন ট্যাংকের সঙ্গে যুক্ত, সেখানেই গণ্ডগোল ধরা পড়ে। এতে উৎক্ষেপণের ৪০ মিনিট আগে বন্ধ করে দেয়া হয় কাউন্টডাউন। জানানো হয়, ত্রুটি দূর না হওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে উৎক্ষেপণ।
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ দিয়ে শুরু হওয়া পাঁচটি মিশনে মোট ১০ জন নভোচারী চাঁদের বুকে হেঁটেছেন।
আগের চন্দ্রাভিযানের নামকরণ হয়েছিল গ্রিক চন্দ্রদেবতা অ্যাপোলোর নামে। এবারের মিশনের পরীক্ষামূলক পর্যায় শেষে চাঁদে প্রথম নারীকে পাঠানোর পরিকল্পনা করার হয়েছে৷ এ জন্য অ্যাপোলোরই যমজ বোন আর্টেমিসের নামে নামকরণ করা হয়েছে মিশনের।
মিশন আর্টেমিসের এটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। তাই এতে কোনো মানুষ থাকছে না। সফল হলে, পরবর্তী উৎক্ষেপণে রকেটের ক্যাপসুলে থাকবেন মহাকাশচারী।
পাঁচ দশক আগে শেষবার মানুষের পা চাঁদে পড়েছিল অ্যাপোলো-১৭ অভিযানে।
এবার আর্টেমিস মিশনের উৎক্ষপণ দৃশ্য দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের কাছে। তবে শেষ মুহূর্তে তা স্থগত হওয়ায় আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হলো তাদের।