উদীয়মান প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ক উদ্ভাবনী ব্যবসায়ের ধারণাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘স্টার্ট করো’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার তৃতীয় বছরের আয়োজন।
রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার দুই দিনের প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায় উন্নয়ন পরামর্শক ও বিনিয়োগকারীদের।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রেনিউর ল্যাব ও ফ্রেডরিক নুম্যান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আয়োজনে স্টার্ট করোর সহযোগী ছিল স্টার্টআপ বাংলাদেশ এবং ইএমকে সেন্টার।
নবীন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে দুই দিনের বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন ভেলোসিটি এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত হোসেন, এফএনএফ দেশীয় প্রতিনিধি ডক্টর নাজমুল হোসেন, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ওমর মোস্তাফিজ, ই-ক্যাবের পরিচালক নাসিমা আক্তার নিশা, স্টার্টআপ ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান খান, এসআর ভেঞ্চারসের প্রতিষ্ঠাতা সায়মা রহমান, আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক সিদ্ধার্থ প্রবাল, প্রেনিউর ল্যাবের চেয়ারপারসন রাখসান্দা রুখাম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক আদনান দেওয়ান এবং টিচইট প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নাইমুল হোসেন।
তার আগে তিনটি ভার্চুয়াল সেশন এবং ইন পারসন বুটক্যাম্পে ট্রেইন করা হয়।
প্রেনিউর ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সিইও আরিফ নিজামী বলেন, ‘স্টার্ট করো আয়োজনের মাধ্যমে উদ্ভাবককে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ করে দিতে চাই। এর মাধ্যমে অনেক নতুন উদ্যোক্তা সামনে এসেছেন, যারা আগামী দিনে প্রযুক্তিভিত্তিক অর্থনীতিতে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন।’
৭০টি টিম থেকে ৩০টি টিম বুটক্যাম্পে সুযোগ পায়। সেখান থেকে ১২টি টিম ডেমো- ডেতে অংশ নেয়।
শীর্ষস্থানীয় অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলো হলো ক্রিয়েটিনো, ফার্মনেট এশিয়া, হস্পিটালিন, ইনফ্লেক্সিওন পয়েন্ট টেকনোলজিস, কৃষিক্লিনিক, কৃশপ, মূল্যকতো, পিওরা, স্কুল৩৬০, শিক্ষন, টডলো, আরবান গ্যাজ।
প্রতিযোগিতার শীর্ষ পাঁচ উদ্যোক্তা পাবেন ব্যবসা নিবন্ধন বা ট্রেডমার্ক নিবন্ধন বা আইনি সহায়তা।
এ ছাড়া শীর্ষ অংশগ্রহণকারীদের বুটক্যাম্পের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা হবে এবং শীর্ষ তিন বিজয়ী প্রিনিউর ল্যাব থেকে ‘অফিস ডট এআই’-এর এক বছরের অ্যাক্সেস পাবেন।