মানসম্মত সেবা দিতে না পারার কথা জানিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
যদিও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি দাবি করেছে, তাদের সেবা বিশ্বমানের চেয়ে এগিয়ে। নিষেধাজ্ঞাকে অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে পরিস্থিতি মূল্যায়নের কথাও জানিয়েছে তারা।
বুধবার দুপুরে বিষয়টির অনুমোদনের পরে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা গ্রামীণফোনে পাঠায় বিটিআরসি।
সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘গ্রামীণফোন কোয়ালিটি সার্ভিস দিতে পারছে না। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপারেটরটি (গ্রামীণফোন) সিম বিক্রি করতে পারবে না।’
মানসম্মত সেবা দিতে পারছে না বলতে কী বুঝাচ্ছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অভিযোগ পাচ্ছি। কল করলে কেটে যায়, ইন্টারনেট সেবাও ধীরগতির।’
এই বিষয়টি নিয়ে কোম্পানিটির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলেও জানান বিটিআরসি কর্মকর্তা। বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মিটিং করি, ড্রাইভ টেস্ট হয়। কিন্তু তাদের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।’
মোবাইল ফোন সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ স্পষ্ট। কল ড্রপ, ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ করে আসছেন ভোক্তারা। তবে এ নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটররা কিছু বলছেন না।
বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত মে পর্যন্ত গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার।
গ্রামীণের বক্তব্য
যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন অপারেটরটি নিউজবাংলাকে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠায়
তারা বলেছে, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিকম ব্র্যান্ড গ্রামীণফোন বিটিআরসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আইটিইউর সেবার মানদণ্ড অনুসরণ করার পাশাপাশি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মানদণ্ড থেকেও এগিয়ে আছে।’
ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক ও সেবার মানোন্নয়নে আমরা বিটিআরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে জানিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরটি বলেম ‘নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নিলামেও গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ অনুমোদিত তরঙ্গ অধিগ্রহণ করেছে জানিয়ে সংস্থাটি এও বলেছে, ‘এমতাবস্থায়, অপ্রত্যাশিত এ চিঠি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি। আমরা মনে করি, আমাদের সম্ভাব্য গ্রাহকদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে গঠনমূলক আলোচনাই হবে এ সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।’