বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হারমনিতে ৯৭০ কোটি টাকার ক্রিপ্টো চুরি

  •    
  • ২৫ জুন, ২০২২ ১৫:৪০

চুরি হওয়া ১০ কোটি ডলারের বিষয়ে হারমনি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, চুরির ঘটনায় অপরাধীকে শনাক্ত করতে, চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনতে জাতীয় কর্তৃপক্ষ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছে তারা। লন্ডনভিত্তিক ব্লকচেইন অ্যানালিটিক্স ফার্ম এলিপটিক বলছে, শুধু ২০২২ সালেই বিভিন্ন ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠানের ব্রিজ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ক্রিপ্টো ফার্ম ‘হারমনি’ থেকে ১০ কোটি ডলারের (৯৩০ কোটি টাকা) ডিজিটাল মুদ্রা চুরি হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানটির ব্লকচেইনের মাধ্যমে ক্রিপ্টো স্থানান্তর করার সফটওয়্যার ‘ব্রিজে’ আঘাত করেছে।

হারমনি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, চুরির ঘটনায় অপরাধীকে শনাক্ত করতে, চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনতে জাতীয় কর্তৃপক্ষ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছে তারা।

হ্যাকিংয়ের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিপ্টো সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

লন্ডনভিত্তিক ব্লকচেইন অ্যানালিটিক্স ফার্ম এলিপটিক বলছে, শুধু ২০২২ সালেই বিভিন্ন ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠানের ব্রিজ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে।

ক্রিপ্টোগেম এক্সি ইনফিনিটির চেইন থেকে হ্যাকিংয়ে চুরি হয়েছে ৬২ কোটি ডলার

এর আগে মার্চে অনলাইনে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো গেম এক্সি ইনফিনিটির মূল প্রতিষ্ঠান স্কাই ম্যাভিসের নিজস্ব ওয়ালেট রোনিন নেটওয়ার্কে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।

প্রায় ৬২ কোটি ডলার চুরি করে নিয়েছিল হ্যাকাররা। সেখানে এখনও ঝুঁকিতে আছে হাজার হাজার গেমারের অর্থ।

এদিকে গত বছর ৬০ কোটি ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাক হয় ‘পলি নেটওয়ার্ক’ থেকে। ‘পলি নেটওয়ার্ক’ হলো অনলাইনে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের সেন্ট্রালাইজড প্ল্যাটফর্ম। যদিও এই ঘটনার পর হ্যাকার অর্থ ফেরত দেয়।

এক্সি ইনফিনিটির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই বলছে, ‘অনুসন্ধানে তারা নিশ্চিত হয়েছে উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকিং গ্রুপ ল্যাজারাস এই চুরির জন্য দায়ী।’

ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক প্রযুক্তির খরচ জোগাতেই এই ধরনের চুরিতে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সাইবার আক্রমণ চালিয়ে চুরি করা ক্রিপ্টো সম্পদ দিয়েই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ব্যয় মেটায় উত্তর কোরিয়া।

সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানোর শতভাগ নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। তবে সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে যেই এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা হবে তার ইতিহাস ও সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে তারা কত দ্রুত সাড়া দেয়, তা দেখা বাঞ্ছনীয়।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেশটির হ্যাকাররা সাইবার আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার (৫০ মিলিয়ন ডলার) ডিজিটাল সম্পদ চুরি করে। তাদের সাইবার আক্রমণের লক্ষ্য ছিল উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার তিনটি ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময় ও কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম।

ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকারদের প্রধানত দুই ধরনের টার্গেট থাকে। একটি সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ ও অন্যটি ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্স। সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জগুলোয় একজন ব্যবহারকারী তার ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা ও কেনাবেচা করতে পারেন।

পোলোনিক্স, বাইনান্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ সুবিধা দেয়।

গত বছরেই ৬০০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাক হয় ‘পলি নেটওয়ার্ক’ থেকে।

ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্সে সাধারণত একজন ব্যবহারকারী নিজের ডিভাইসটিতেই অর্থ জমা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘মেটামাস্কের’ মতো ইথারিয়াম ওয়ালেটগুলো জনপ্রিয়।

ক্রিপ্টো হেডের প্রতিষ্ঠাতা এডাম মরিস বলেন, যদি হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করতে সক্ষম হয়, তারা মুহূর্তের মধ্যেই অর্থ উত্তোলন করতে পারে নিজের কোনো অস্তিত্ব জানান না দিয়েই।

তবে হ্যাকারদের কবল থেকে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করতে হয়, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন ক্রিপ্টোক্রাইম অ্যানালিস্ট জন ম্যাকগিল।

তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানোর শতভাগ নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। তবে সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে যেই এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা হবে তার ইতিহাস ও সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে তারা কত দ্রুত সাড়া দেয়, তা দেখা বাঞ্ছনীয়।

এ বিভাগের আরো খবর