বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাইনোসর টি-রেক্স কি সাঁতরাতে পারত

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২২ ১২:৪৮

অনেক নদী ও হ্রদের তলদেশের স্তরে থেরোপড ডাইনোসরের সাঁতারের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আর টাইনোসরাস রেক্স বা টি-রেক্স হল থেরাপড প্রজাতিরই ডাইনোসর। থেরাপড প্রজাতির হওয়ায় টি-রেক্সের ফাঁপা হাড়গুলো তাকে পানিতে ভেসে থাকতে সাহায্য করত এবং এর শক্তিশালী দুটি পা দিয়ে সে পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াত।

পৃথিবীর স্থলভাগে আমরা এখন বিশাল বিশাল প্রাণী বিচরণ দেখতে পাই, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো হাতি। এ ছাড়া বড় প্রাণীর মধ্যে রয়েছে ঘোড়া, উটপাখি, ইমু। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এই প্রতিটি প্রাণীই সাঁতার কাটতে জানে। তাই প্রশ্ন ওঠে। প্রাগঐতিহাসিক যুগের প্রাণী, বিশেষ করে টি-রেক্সের মতো বিশাল ডাইনোসর কি সাঁতার কাটতে পারত?

ডেভিড এটেনবোরোর তত্ত্বাবধানে অ্যাপল টিভিতে সদ্য মুক্তি পাওয়া প্রিহিস্টোরিক প্ল্যানেটে বলা হয়েছে, এই পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত আবির্ভাব হওয়া সব প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর শিকারি প্রাণী টি-রেক্সও সাঁতার কাটতে পারত। অথচ টি-রেক্সের উচ্চতা ছিল ৩০ মিটার আর একটি প্রাপ্ত বয়স্ক টি-রেক্সের ওজন ১০ টনের মতো।

ফাঁপা হাড় টি-রেক্সকে পানিতে ভাসিয়ে রাখত

এরই মধ্যে অনেক নদী ও হ্রদের তলদেশের স্তরে থেরোপড ডাইনোসরের সাঁতারের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আর টাইনোসরাস রেক্স বা টি-রেক্স হলো থেরাপড প্রজাতিরই ডাইনোসর।

সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে গবেষকরা জানতে পারে যে থেরাপড প্রজাতির ডাইনোসরের হাড় ছিল পাখির মতোই ফাঁপা এবং এর পাও ছিল পাখির অনুরূপ।

থেরাপড প্রজাতির ডাইনোসর হওয়ায় টি-রেক্সের ফাঁপা হাড়গুলো তাকে পানিতে ভেসে থাকতে সাহায্য করত এবং এর শক্তিশালী দুটি পা দিয়ে সে পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াত। ফসিল রেকর্ডেও সরাসরি এর প্রমাণ রয়েছে।

প্রাগৌতিহাসিক যুগে সমুদ্রে দাপিয়ে বেড়াত ভয়ংকর মোজেসরোস

তবে স্থলভাগের ভয়ংকর শিকারি টি-রেক্স অনেক ক্ষেত্রে সমুদ্রের জলে নেমে নিজেই শিকারে পরিণত হতো। প্রাগৌতিহাসিক যুগে সমুদ্রে বাস করত বিশালাকার শিকারি প্রাণী মোজেসরস। সাগরে সাঁতার কাটার সময় কম বয়সী টি-রেক্সগুলোই হতো মোজেসরসের শিকার।

এ বিভাগের আরো খবর