বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টুইটার না কেনার হুমকি মাস্কের

  •    
  • ৭ জুন, ২০২২ ১০:১২

টুইটার কেনার বিষয়টি স্থগিত করেন, কারণ ইলন মাস্ক বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে প্রচুর পরিমাণ বট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক বট ইস্যুটিকে একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছেন চুক্তিটি পরিত্যাগ অথবা পুনঃ আলোচনা করার জন্য।

স্পেসএক্স ও টেসলার মালিক বিশ্বের শীর্ষধনী ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার প্রস্তাব দিলে ঘটনাটি প্রযুক্তি জগতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। পরে তিনি টুইটার কেনার বিষয়টি স্থগিত করেন, কারণ তিনি বলেছিলেন, টুইটারে প্রচুর পরিমাণ বট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বট অ্যাকাউন্ট মূলত কোনো মানুষের অ্যাকাউন্ট নয়। কম্পিউটারে তৈরি করা টুইটার অ্যাকাউন্ট।

এবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি তার ব্যবহারকারীদের প্রকৃত মানুষ প্রমাণ করার জন্য আরও কিছু না করলে টুইটার কেনার চুক্তি থেকে সরে যাবেন তিনি।

তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক বট ইস্যুটিকে একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছেন চুক্তিটি পরিত্যাগ অথবা পুনঃ আলোচনা করার জন্য।

কিন্তু মাস্ক দাবি করেছেন এর বিপরীত। তিনি বলছেন, স্প্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য তার দাবি পূরণ না করে বরঞ্চ টুইটার চুক্তি লঙ্ঘন করছে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, পর্দার আড়ালে চুক্তিটি চলছে। উভয় পক্ষই নিয়মিত বৈঠক করছে এবং তথ্য বিনিময় করছে।

গত মাসে মাস্ক বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে বট ইউজারের সংখ্যা ৫ শতাংশেরও নিচে কমিয়ে নিয়ে আসা পর্যন্ত তিনি এই চুক্তিটিকে স্থগিত করছেন। মাস্কের অনুমান, টুইটার সব ইউজার অ্যাকাউন্টের কমপক্ষে ২০ শতাংশ বট অ্যাকাউন্ট।

গত ৪ এপ্রিল জানা যায়, টুইটারের প্রায় ৯.২ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্ক। যার জন্য তিনি খরচ করেছেন ২.৪ বিলিয়ন ডলার। সে সময় একক মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক হলেও ১০ এপ্রিল টুইটার বোর্ডের মিটিংয়ে যোগ দিতে অস্বীকার করেন তিনি।

পরে ইলন মাস্ক তার পরিকল্পনা স্পষ্ট করেন যে তিনি আসলে পুরো টুইটারই চান।

১৪ এপ্রিল ইলন মাস্ক টুইটারের বাকি শেয়ারগুলোর প্রতিটি ৫৪.২০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন, যা আগের কেনা ৯.২ শতাংশ শেয়ারের থেকে ৩৮ শতাংশ বেশি।

ইলন মাস্কের বক্তব্য ছিল, কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য বাকস্বাধীনতা একটি সামাজিক বাধ্যবাধকতা। বর্তমান কাঠামোতে টুইটার তা দিতে পারবে না।

পরে তিনি ‘সেরা ও চূড়ান্ত’ প্রস্তাব হিসেবে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কোম্পানিটিকে ব্যক্তিগতভাবে কিনে ফেলার প্রস্তাব দেন।

এর আগে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে টেডের এক সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্যে তিনি জানিয়েছিলেন, টুইটার থেকে আয়ের কোনো লক্ষ্য নেই তার। বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন বাকস্বাধীনতাই তার লক্ষ্য। এমনকি টুইটারের অভ্যন্তরীণ সব কিছু একজন ব্যবহারকারী যাতে জানতে পারে, তার জন্য টুইটারের অ্যালগরিদমও উন্মুক্ত করে দিতে চান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর