দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। বাংলাদেশ এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত হতে চলেছে। সেই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে অনলাইন সেবাপ্রত্যাশীদের এখন পর্যন্ত ৫০ ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
সোমবার ঢাকায় ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০ ধরনের সেবা অনলাইনে প্রদান’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের এই দপ্তরে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে অনলাইন সিস্টেম অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউল (ওএলএম) কার্যক্রম শুরু হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন ও প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক শেখ রফিকুল ইসলাম।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইঅ্যান্ডই) এখন শতভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশের অনলাইন সেবা দিচ্ছে। অনলাইন সেবার আওতায় যে ৫২টি সেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তার ৫০টিই ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, এই সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখন ঘরে বসেই সিসিআইঅ্যান্ডইর সব সেবা অনলাইনেই নিতে পারছেন। ফলে কাউকে আর এ দপ্তরের কোনো সেবা নিতে সশরীরে যেতে হবে না। এটা সরকারের জন্য বড় সফলতা।’
এই অনলাইন সেবা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও দাবি করেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য যে কোনো সময়ের চেয়ে গতিশীল হয়েছে। ব্যবসার পরিধি বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা অনেক। মানুষ যে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া সহজেই বাণিজ্য সংক্রান্ত সেবা পেতে চায়। সততা ও দক্ষতা দিয়ে মানুষের সে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করি, সোনার বাংলা গড়তে বেশি সময় প্রয়োজন হবে না।’
এ সময় টিপু মুনশি জানান, চলতি অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার সেই রপ্তানি প্রকৃতপক্ষে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।
এভাবে আগামী দুই বছর পর বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলেও জানান তিনি।