স্নায়ুযুদ্ধের পর আবারও মহাকাশ নিয়ে পরাশক্তিদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এরই মধ্যে চাঁদে পুনরায় নভোচারী পাঠানোর প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। স্পেসএক্সের সঙ্গে যৌথ এই প্রজেক্টের নাম দেয়া হয়েছে ‘আর্টিমেস’। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চাঁদে এবার ঘুরে আসতে নয়, থাকতে যাচ্ছে তারা।
ইউক্রেন ইস্যুতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেছে ক্রেমলিন। রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জাতীয় মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগজিন সোমবার বলেছেন, দীর্ঘ বিলম্বের পর চাঁদের ল্যান্ডার মিশন লুনা-২৫ এ বছর নাগাদ চালু করার বিষয়ে আশাবাদি রাশিয়া।
সাংবাদিকদের রোগজিন বলেন, ‘আশা করি আমাদের পরীক্ষা সফল হবে এবং সেপ্টেম্বরে আমরা লুনা-২৫ উৎক্ষেপণ করতে পারব।’
এর আগে গত এপ্রিলে রাশিয়ার পূর্ব আমুর অঞ্চলে ভোস্টোচনির কসমোড্রোম পরিদর্শনের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ‘আমরা চাঁদ কর্মসূচি পুনরায় আবার শুরু করব।’
লুনা-২৫
এই বছরেই পুতিন মিশনটি চালু করার লক্ষ্যে রূপরেখা দিয়েছিলেন।
পুতিন জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য দেশটির ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মস্কোর মহাকাশ অন্বেষণকে লাইনচ্যুত করতে পারবে না।
পুতিন বলেন, ‘সব অসুবিধা ও বাইরের হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টার পরও আমরা অবশ্যই ধারাবাহিকতা ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে আমাদের সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।’
তবে এপ্রিলে দেয়া পুতিনের এই ঘোষণার পরই ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান চালানোর কারণে রসকসমসের সঙ্গে তারা সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে।
লুনা-২৫ প্রায় ৩০ কেজি বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম চাঁদে নিয়ে যাবে। এই ল্যান্ডারটি চাঁদে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং এর রোবটিক হাত ও ড্রিল মেশিন দিয়ে চাঁদের শিলা ও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করবে। আর প্রোবটির পরিকল্পিত গন্তব্য হচ্ছে চাঁদের উত্তর মেরু অঞ্চল।
মিশনটি সোভিয়েত-পরবর্তী ইতিহাসে প্রথম রুশ চন্দ্রাভিযান হতে যাচ্ছে।