স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ডিজাইন তরুণদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বাজারে এন্ট্রি লেভেলের স্মার্টফোনে উদ্ভাবনী ডিজাইনে এখন যেকোনো স্মার্টফোনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে রিয়েলমি সি৩৫।
দুর্দান্ত ফিচারের পাশাপাশি গ্রাহকেরা এখন নান্দনিক ডিজাইনের স্মার্টফোন কিনতে বেশি আগ্রহী। সে কারণে এমন বাজেটে রিয়েলমি গ্রাহকদের জন্য একটি প্রিমিয়াম ডিজাইন নিয়ে এসেছে। ডিভাইসটি গ্রাহকদের একটি প্রিমিয়াম ফোন ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা দেবে, যা ট্রেন্ডি এবং স্লিম, এখন তরুণদের প্রথম পছন্দ। চলুন দেখে নেয়া যাক রিয়েলমি সি৩৫ ফোনের ফিচারগুলো।
আলট্রা স্লিম ডায়নামিক গ্লোয়িং ডিজাইন
রিয়েলমি সি৩৫ ডিভাইসের বৈশিষ্ট্য এর নজরকাড়া ডিজাইন। মাত্র ৮.১-মিলিমিটার পুরুত্ব ও রাইট–অ্যাঙ্গেল বেজেল ডিজাইনের এই ফোন দেখতে দুর্দান্ত। স্মার্টফোনটির ওজন মাত্র ১৮৯ গ্রাম, ফলে ব্যবহারকারীরা অনায়াসেই ফোনটি হাতে ধরে রাখতে পারবেন।
এ ছাড়া রিয়েলমি প্রথমবারের মত নিয়ে এসেছে টু-ডি চমৎকার গ্লোয়িং ডিজাইন, যা ডিভাইসটিকে করেছে দুর্দান্ত। আলট্রা স্লিম ও আলট্রা লাইট ফোনটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, ধরতেও তেমন আরামদায়ক। ফোনটি গ্লোয়িং গ্রিন এবং গ্লোয়িং ব্ল্যাক এই দুই রঙে পাওয়া যাচ্ছে।
ডিজাইন ও রঙের দারুণ মিশ্রণে তৈরি ডিজাইনের স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৩৫। এই দামে সেরা ডিজাইনের ফোন।
৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা
ক্যামেরাপ্রেমীদের জন্য রিয়েলমি সি৩৫ ফোনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, যা দিয়ে খুব সহজেই দারুণ সব ছবি তোলা যাবে। ফোনে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল ও এফ/১.৮ অ্যাপারচারসহ প্রাইমারি সেন্সর, যা যথেষ্ট আলোর সঞ্চার করে ঝকঝকে ও উজ্জ্বল ছবি তুলতে সহায়তা করে। সাথে আছে ৪এক্স ম্যাক্স ডিজিটাল জুম, যার মাধ্যমে দূরের স্পষ্ট ছবি তোলা যায় সহজেই। আছে ২ মেগাপিক্সেলের (এফ/২.৪ অ্যাপারচার) ম্যাক্রো লেন্স ও ২ (এফ/২.৮ অ্যাপারচার) মেগাপিক্সেলের ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট লেন্স, যা ব্যবহারকারীদের হাই এক্সপোজারের চমৎকার পোর্ট্রেট তুলতে দেবে।
তা ছাড়া রেটরো ফিল্ম স্টাইল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ডিভাইসটি দিয়ে ক্যামেরাবন্দী করতে পারবেন শৈল্পিক সব ছবি।
সেলফি ও ভিডিও কল করার জন্য এফ/২.০ অ্যাপারচার ও এআই বিউটিসহ ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে ফোনটিতে। বিভিন্ন রকমের ফিল্টার ও এইচডিআর ফাংশন, যা আপনাকে প্রাণবন্ত ছবি তুলতে সাহায্যে করবে।
দুর্দান্ত ছবি তোলার পাশাপাশি, ডিভাইসটির ভিডিও ধারণেও দেবে অসাধারণ পিক্সেল ফ্রেম। ফোনটি দিয়ে ৪৮০, ৭২০ অথবা ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও করা যাবে।
৬.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে
রিয়েলমি সি সিরিজের ডিভাইসগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সি৩৫ ফোনে থাকছে ৬.৬-ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে, যা এই প্রাইস রেঞ্জে অনেকটাই বিরল। এর স্ক্রিন বড় হওয়ায় ৯০.৭ শতাংশ স্ক্রিন রেশিওতে অনায়াসে ভিডিও দেখা যায়। যা দামের হিসেবে অসাধারণ ডিসপ্লে।
শক্তিশালী পারফরমেন্স, দুর্দান্ত কোয়ালিটি
নজরকাড়া ডিজাইন ও ক্যামেরার পাশাপাশি ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী ইউনিসক টাইগার টি৬১৬ অক্টা-কোর ১২এনএম প্রসেসর। আনটুটু বেঞ্চমার্কে ২৩১,৬৯৯ স্কোর অর্জন করা চিপসেটটি এই সেগমেন্টের মধ্যে সেরা। চিপসেটটির ২.০ গিগাহার্জ ক্লকস্পিড ও কর্টেক্স এ৭৫ কাঠামো ফোনটিকে করেছে আরও শক্তিশালী।
রিয়েলমি সি সিরিজের সব স্মার্টফোনের সাথে থাকবে টিইউভি রাইনল্যান্ড হাই রিলায়াবিলিটি সার্টিফিকেশন। রিয়েলমি সি৩৫ -এর গুণমান নিশ্চিত করতে এই ফোনের উপর ৩০০-টিরও বেশি টেস্ট করা হয়েছে। এই ফোনের গুণমান বৈশ্বিক স্মার্টফোনের বাজারেও বেশ সমাদৃত। উনিসকের টাইগার সিরিজের প্রসেসর বেশ শক্তিশালী এবং টি৬১৬ প্রসেসরটি তার আগের জেনেরেশনের প্রসেসরের থেকে ভালো পারফরমেন্স দেবে।
৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার
ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ বিশাল ব্যাটারি। এই ব্যাটারি দিয়ে ৭১.৫৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিরামহীন অডিও শোনা যাবে। এ ছাড়া রিয়েলমি সি৩৫ টানা ৩৯ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই এ থাকতে পারে।
ফোনটিতে আছে ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনাল স্টোরেজ সুবিধা এবং চাইলে মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানো যাবে।
ফোনটিতে আছে অ্যান্ড্রয়েড ১১ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই, যা ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর ইনস্ট্যান্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরে দ্রুত ফোন আনলক করা ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা যাবে।
এ ছাড়া রয়েছে ম্যাগনেটিক ইনডাকশন সেন্সর, লাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, আক্সেলারেশন সেন্সর ও হল সেন্সর। উদ্ভাবনী ফিচার, নজরকাড়া ডিজাইন ও ফ্ল্যাগশিপ লেভেল ক্যামেরা সম্বলিত ডিভাইসটি বাজারে পাওয়া যাবে ১৬ হাজার ৯৯০ টাকায়।