টানা তিন সপ্তাহের নাটকীয়তার পর ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কেনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আপাতত তা স্থগিত করেছেন টেসলা সিইও ও স্পেসএক্সের প্রধান প্রকৌশলী ইলন মাস্ক।
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তিনি নিজেই এ ঘোষণা দেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের স্প্যাম এবং ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে সর্বশেষ তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য অপেক্ষা করবেন মাস্ক।
এ সংক্রান্ত রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, টুইটার কেনা চুক্তি আপাতত স্থগিত করা হলো।
এরই মধ্যে শেয়ার বাজারে টুইটারের দাম পড়ে গেছে ২০ শতাংশ।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়নি টুইটার কর্তৃপক্ষ। মাস্কের পক্ষ থেকেও বিস্তারিত বক্তব্য আসেনি।
বেশ কিছু দিন ধরে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ঝুঁকির মুখে আছে বলে এর আগে জানিয়েছিল টুইটার।
গত ৪ এপ্রিল জানা যায়, টুইটারের প্রায় ৯.২ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্ক। যার জন্য তিনি খরচ করেছেন ২.৪ বিলিয়ন ডলার। সে সময় একক মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক হলেও ১০ এপ্রিল টুইটার বোর্ডের মিটিংয়ে যোগ দিতে অস্বীকার করেন তিনি।
পরে ইলন মাস্ক তার পরিকল্পনা স্পষ্ট করেন যে, তিনি আসলে পুরো টুইটারই চান। ১৪ এপ্রিল ইলন মাস্ক টুইটারের বাকি শেয়ারগুলোর প্রতিটি ৫৪.২০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন, যা আগের কেনা ৯.২ শতাংশ শেয়ারের থেকে ৩৮ শতাংশ বেশি।
ইলন মাস্কের বক্তব্য ছিল, কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য বাকস্বাধীনতা একটি সামাজিক বাধ্যবাধকতা। বর্তমান কাঠামোতে টুইটার তা দিতে পারবে না। পরে তিনি ‘সেরা ও চূড়ান্ত’ প্রস্তাব হিসেবে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কোম্পানিটিকে ব্যক্তিগতভাবে কিনে ফেলার প্রস্তাব দেন।
এর আগে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে টেডের এক সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্যে মাস্ক জানান, টুইটার থেকে আয়ের কোনো লক্ষ্য নেই তার।বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন বাকস্বাধীনতাই তার লক্ষ্য। এমনকি টুইটারের অভ্যন্তরীণ সব কিছু একজন ব্যবহারকারী যাতে জানতে পারে, তার জন্য টুইটারের অ্যালগরিদমও উন্মুক্ত করে দিতে চান তিনি।