বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিলম্বিত ডিএনএ প্রতিবেদন, গতিহীন তদন্ত

  •    
  • ৯ মে, ২০২২ ০৮:১৯

রাজশাহীতে অপরাধ তদন্তের অংশ হিসেবে যে কোনো ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য তা পাঠাতে হয় ঢাকায়। প্রতিটি প্রতিবেদন পেতে অপেক্ষা করতে হয় অন্তত তিন মাস।

রাজশাহীর ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ পরীক্ষা না হওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে তদন্ত। বিশেষ করে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন পেতে বিলম্ব হওয়ায় তদন্ত শেষ করতে বাড়তি সময় লাগছে।

রাজশাহীতে অপরাধ তদন্তের অংশ হিসেবে যেকোনো ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য তা পাঠাতে হয় ঢাকায়। প্রতিটি প্রতিবেদন পেতে অপেক্ষা করতে হয় অন্তত তিন মাস।

এ সংকট সমাধানে বিভাগীয় পর্যায়ে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের তথ্য মতে, রাজশাহী নগরে বর্তমানে এমন ৩৫টি মামলার তদন্ত চলছে, যেগুলোর ডিএনএ প্রতিবেদন লাগবে।

নগরীর রাজপাড়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওয়ারেশ আলী বলেন, ‘আমার কাছে দুটি মামলা অপেক্ষমাণ, যেগুলোর ডিএনএ প্রতিবেদন লাগবে। এগুলো ঢাকা মেডিক্যালের মাধ্যমে পরীক্ষা করানোর জন্য বলা হয়েছে আদালত থেকে।

‘রাজশাহীতে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব আছে। তবে সেখানে ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের বাড়তি সময় ও বাড়তি টাকাও খরচ হচ্ছে। এটি এখানে হলে বেঁচে যেত অনেক সময়। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হতো।’

রাজশাহী মহানগর পুলিশের কাটাখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাকও জানালেন, ডিএনএ প্রতিবেদনের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন দিতে তাদের দেরি হয়ে যায়। একটি মামলার তদন্ত শেষ করতে ছয় মাসও লেগে গেছে। ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। বর্তমানে তার হাতে একটি মামলা আছে, যেটি ডিএনএ প্রতিবেদনের জন্য আটকে আছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীতে মামলার তদন্ত শেষ করতে আগে আরও বেশি সময় লাগত। এখানে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব চালুর পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এটির আরও উন্নতি করতে হলে ডিএনএ ল্যাবের বিকল্প নেই।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ফরেনসিক ল্যাব আমাদের তদন্তের কাজে খুব কাজে লাগছে। তবে এখানে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলে এই গতি আরও বেড়ে যাবে। এটিতে সময় ও টাকা দুটোই বাঁচবে।’

রাজশাহী সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবপ্রধান অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার সোহেল আহম্মেদ জানান, এখানে রাসায়নিক, ভিসেরা, হস্তলিপি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফটোগ্রাফি, ব্যালিস্টিকস, অণুবিশ্লেষণ, পদচিহ্ন, ক্রাইমসিন, জালনোট শনাক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। পরীক্ষাগারে ভিসেরা, নারকোটিক, এসিড টেস্টসহ আরও কয়েকটি আইটেম পরীক্ষা করা হয়।

এ ছাড়া সব ধরনের মাদক, মৃত মানুষ ও পশু-পাখির ভিসেরা, কবর থেকে তোলা হাড়, চুল, মাটি ও সফট টিস্যু, বিষাক্ত বা চেতনানাশক পদার্থের উপস্থিতি, আলামতে রক্তের উপস্থিতি, এসিড মিশ্রিত আলামতে রক্তের উপস্থিতি, বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ, জাল টাকা শনাক্তসহ বিভিন্ন আলামতের রাসায়নিক বিশ্লেষণ সম্ভব হচ্ছে।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখায় ‘ক্রাইম সিন’ থেকে সংগৃহীত দৃশ্যমান ও অদৃশ্য আঙুলের ছাপের সঙ্গে সন্দেহভাজনদের আঙুলের ছাপের তুলনা এবং সংগৃহীত ফিঙ্গারপ্রিন্টের লেটেস্ট প্রিন্টের সঙ্গে এএফআইএস ডাটাবেজে সংরক্ষিত ফিঙ্গারপ্রিন্টের মিল বা অমিল খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে।

সোহেল আহম্মেদ বলেন, ‘এখানকার ল্যাবে প্রতি মাসে অন্তত সাড়ে তিন হাজার পরীক্ষা করা হয়। শুধু ডিএনএ ও ডিজিটাল ল্যাব নেই এখানে। এ ছাড়া প্রায় সব ধরনের পরীক্ষা করা সম্ভব এখানে। সব কিছুই এখন রাজশাহীতে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষা রাজশাহীতে হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।’

এ বিভাগের আরো খবর