ঘরে-বাইরে আগুনসম গরমে জ্বলছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। কৃত্রিম বাতাসে জুড়াচ্ছিল না গা। অখণ্ড স্বস্তির জন্য দরকার ছিল বৃষ্টির। হলো তা-ই।
বৃষ্টিতে ভিজে শীতল হলো প্রকৃতি। স্বচ্ছ জলে সাফ হলো ধুলায় আচ্ছন্ন সড়ক। গাছের পাতারা পেল নবপ্রাণ।
বৃষ্টিতে সজীব হয়েছে কৃষ্ণচূড়ার পাতা-ফুল। ছবিটি মিরপুর-১ থেকে তোলা। ছবি: নিউজবাংলা
আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার জানিয়েছে, শীতল করার এ বৃষ্টি নামে রোববার মধ্যরাতের পর।
রাজধানীতে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দেয়া হয়েছিল। সে আভাসের প্রতিফলন দেখা গেছে।
তারও আগে বুধবার পর্যন্ত যেকোনো সময় সারা দেশে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, বুধবার পর্যন্ত দেশজুড়ে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
তার এ বক্তব্যের অর্থ হলো ঈদের দিনেও বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সে ক্ষেত্রে ঈদ উদযাপনে বাধার কারণ হতে পারে বৈশাখের বর্ষণ।