বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেক্সোর সিইও'র ভবিষ্যদ্বাণীর পরে দাম বাড়ছে বিটকয়েনের

  •    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:২০

৩৮ হাজার ৫০০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার পর আবারও বিটকয়েনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪.৫৯ শতাংশ বেড়ে বিটকয়েন এরই মধ্যে ৪০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই এর দাম ৪১ হাজার ২০ ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে বিটকয়েনের মার্কেট ক্যাপিং রয়েছে ৭৭৩ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বের অনেক দেশের পাশাপাশি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে বড় বড় সব করপোরেশন। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ক্রিপ্টো ফার্ম নেক্সোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন্টনি ক্রেনচেভ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এক বছরের মধ্যেই বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ডলারে স্পর্শ করবে। যদিও ক্রেনচেভের সঙ্গে একমত ছিলেন না বিটফিনিক্সের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা পাওলো আরদোইনো।

এবার ক্রিপ্টোনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাম বাড়ছে বিটকয়েনের।

প্রায় ৩৮ হাজার ৫০০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার পর আবারও বিটকয়েনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪.৫৯ শতাংশ বেড়ে বিটকয়েন এরই মধ্যে ৪০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই এর দাম ৪১ হাজার ২০ ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে বিটকয়েনের মার্কেট ক্যাপিং রয়েছে ৭৭৩ বিলিয়ন ডলার।

পাশাপাশি দাম বেড়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইথারিয়ামেরও। ২ হাজার ৯৫০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার পর ইথারিয়ামের দামও ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। শিগগিরই ছাড়াতে পারে ৩ হাজার ১২০ ডলার। ইথারিয়ামেরও মার্কেট ক্যাপিং রয়েছে ৩৬৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

শুধু বিটকয়েন ও ইথারিয়ামই নয়, আডা, বিএনবি, সোলানা, ডজ, এক্সআরপির মতো অল্টাকয়েনের দামও বেড়েছে। পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সির মার্কেট ক্যাপিং এখন প্রায় ১.৮৫ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন বাদে বাকি যেসব কারেন্সি প্রচলিত রয়েছে, তাদেরই অল্টাকয়েন বলা হয়।

বিটকয়েন কী

বিটকয়েন হলো এক ধরনের অনলাইন মুদ্রা, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে তৈরি হয়। ২০০৯ সালে এটি চালু করেন সাতোশি নাকামোতো (ছদ্মনাম)। তবে অস্ট্রিলীয় নাগরিক ক্রেগ রাইটসও নিজেকে বিটকয়েনের উদ্ভাবক বলে দাবি করেন।

বলা হচ্ছে, এই মুদ্রার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। একজনের ব্যক্তিগত ওয়ালেট থেকে আরেকজনের ওয়ালেটে লেনদেন হয়। এই ওয়ালেট হলো ব্যক্তিগত ডাটাবেস, যা কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ক্লাউডে যাতে তথ্য সঞ্চিত থাকে। বিটকয়েন ব্যবস্থা এতটাই গোপনীয় যে ব্যবহারকারীরাও নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে পারেন। এ কারণে যারা তথ্য গোপন রাখতে চান, তাদের মধ্যে বিটকয়েন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বিভিন্ন দেশও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা করছে। সম্প্রতি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়াও তাদের জ্বালানি তেল ও গ্যাস বিক্রির ক্ষেত্রে বিটকয়েন ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা করছে। এলসালভাদর এরই মধ্যে বিটকয়েনকে রাষ্ট্রীয় মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর