বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মঙ্গলের পাথরের নমুনা নিতে পারেনি নাসার রোবট

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২১ ১৬:০৫

নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ছিল মঙ্গলপৃষ্ঠের পাথরে ফুটো করা। নমুনা সংগ্রহের পুরো প্রক্রিয়া প্রায় ১১ দিনের। গ্রহটিতে প্রাচীন ক্ষুদ্র জীবাণুধর্মী প্রাণের চিহ্ন খুঁজতে এবং মঙ্গলের ভূতত্ত্ব আরও ভালোভাবে বুঝতে মঙ্গল থেকে সংগৃহীত প্রায় ৩০টি নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসতে চান বিজ্ঞানীরা।

পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধানে চলছে নাসার অভিযান। মঙ্গলপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহে পাথর খুঁড়লেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে নাসার পাঠানো পারসিভারেন্স রোভারকে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে শুক্রবার প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, পাথর সংগ্রহের প্রাথমিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে রোভারের। এ অবস্থায় নতুন করে পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

লাল গ্রহটি থেকে নমুনা হিসেবে পাথরগুলো ভবিষ্যতে পৃথিবীতে এনে গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করতে চান বিজ্ঞানীরা।

নাসা জানিয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলের পাথুরে পৃষ্ঠে ফুটো করে গর্ত তৈরি করতে পেরেছে রোভারটি। মঙ্গলে পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনো রোবটের তৈরি করা প্রথম গর্ত এটি।

সেখান থেকে আঙুলের সমান একটি পাথরখণ্ড সংগ্রহ করে সেটিকে বাতাসহীন টিউবে ঢুকিয়ে টিউবটির মুখ বন্ধ করে সেটি পৃথিবীতে পাঠানোর কথা ছিল রোভারের।

কিন্তু পৃথিবীতে পাঠানো রোভারের তথ্য বিশ্লেষণ করে টিউবটিতে কোনো পাথরের উপস্থিতি মেলেনি।

নাসার বৈজ্ঞানিক মিশন অধিদপ্তরের সহযোগী প্রশাসক থমাস জারবাখেন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট যে লক্ষ্যটি আমাদের ছিল, এ দফায় তা পূরণ হয়নি। তবে যোগ্য গবেষকরাই কাজ করছেন এ নিয়ে।

‘ভবিষ্যৎ অভিযানে সাফল্য নিশ্চিতে সমস্যার কারণ অনুসন্ধান ও সমাধানের চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টায় সাফল্যের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ছিল মঙ্গলপৃষ্ঠের পাথরে ফুটো করা। নমুনা সংগ্রহের পুরো প্রক্রিয়া প্রায় ১১ দিনের। গ্রহটিতে প্রাচীন ক্ষুদ্র জীবাণুধর্মী প্রাণের চিহ্ন খুঁজতে এবং মঙ্গলের ভূতত্ত্ব আরও ভালোভাবে বুঝতে মঙ্গল থেকে প্রাপ্ত নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসতে চান বিজ্ঞানীরা।

এক বছরেরও বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল পারসিভারেন্স। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রহটির জেজিরো ক্রেটারে সফল অবতরণ করে সেটি।

কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাঠানো ছবির তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীদের ধারণা, ৩৫০ কোটি বছর আগে হয়তো গভীর একটি হ্রদ ছিল জেজিরোর খাদের অংশটি। ধারণা সত্য হলে মহাজাগতিক প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ পেতে পারেন তারা।

২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গল থেকে প্রায় ৩০টি নমুনা পৃথিবীতে আনতে চান মহাকাশবিজ্ঞানীরা।

এ বিভাগের আরো খবর