বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে নেয়া টিকায় দ্বিগুণ সুরক্ষা

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২১ ১২:৪৪

করোনাজাতীয় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের দ্বিতীয়বার একই ধরনের ভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার হার কম। কিন্তু চলমান মহামারিতে এমনটা দেখা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে ভাইরাসটির রূপ পরিবর্তন ও ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের করোনার সংক্রমণকে দায়ী করছেন গবেষকরা। তবে দুর্বলতা অনেকাংশে কমানো সম্ভব সুস্থ হওয়ার পরে টিকা নেয়ার মাধ্যমে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের দ্রুত টিকা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিদরা। বিশেষ করে অধিক সংক্রামক রূপ পরিবর্তিত করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তাদের জন্য টিকা বিশেষ উপযোগী।

নতুন গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, করোনায় একবার আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের দেহে দ্বিতীয়বার ছোঁয়াচে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি দ্বিগুণ। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) শুক্রবার জানিয়েছে এ তথ্য।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এক দফা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর টিকা নিলে ব্যক্তির দেহে এর প্রভাব পরীক্ষা করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষণাগারে করা বিশ্লেষণে প্রমাণ মিলেছে যে, এতে সাবেক করোনা রোগীর দেহে ভাইরাসবিরোধী ও রোগ প্রতিরোধে সক্ষম কোষের সংখ্যা অপ্রত্যাশিত হারে বেড়ে যায়। এমনকি রূপ পরিবর্তিত ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের করোনার বিরুদ্ধেও আগের চেয়ে জোরদার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

সিডিসির পরিচালক ড. রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, ‘যদি আপনি আগে কখনো করোনা পজিটিভ হয়ে থাকেন, তাহলেও টিকা নিন। ছোঁয়াচে ভাইরাসটি থেকে নিজেকে এবং আপনার আশপাশের মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিতের সেরা উপায় টিকা নেয়া।

‘বিশেষ করে যখন দেশজুড়ে অধিক সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার বাড়ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষণধর্মী ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের সাম্প্রতিক এক জরিপে বেরিয়ে আসে, টিকা নিতে অনিচ্ছুক আমেরিকানদের বড় অংশ আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

দেহে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে বলে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হবেন না বলে মনে করেন তারা। এ ধারণাই টিকা নিতে তাদের অনীহার অন্যতম প্রধান কারণ বলে উঠে এসেছে জরিপে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অন্তত করোনাজাতীয় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের দ্বিতীয়বার একই ধরনের ভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার হার কম। কিন্তু চলমান মহামারিতে এমনটা দেখা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে ভাইরাসটির রূপ পরিবর্তন ও ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের করোনার সংক্রমণকে দায়ী করা হচ্ছে।

রক্তপরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে যে, একবার আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে দেহে সৃষ্ট করোনাবিরোধী সুরক্ষা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর নয়। তবে সে দুর্বলতা অনেকাংশে কমানো সম্ভব সুস্থ হওয়ার পরে টিকা নেয়ার মাধ্যমে।

বিজ্ঞানীদের এ দাবির পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করেছে সিডিসি।

২০২০ সালে কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

নমুনাদাতাদের মধ্যে ২৪৬ জন চলতি বছরের মে বা জুন মাসে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও সুস্থ ৪৯২ জন।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিতীয়বার আক্রান্তদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নেয়া ব্যক্তিদের তুলনায় কখনোই করোনা প্রতিরোধী টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি।

এমনকি নমুনা বিশ্লেষণেও টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ ঝুঁকি অনেক বেশি বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বেশিরভাগই প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন।

মে আর জুন মাসে কেন্টাকিতে শনাক্ত বেশিরভাগ করোনা রোগীর দেহে আলফা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে করোনার যত পরিবর্তিত ধরন শনাক্ত হয়েছে, সেসবের মধ্যে চারটি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। এগুলো হলো আলফা, বেটা, গামা ও ডেল্টা। এ পর্যন্ত ১৮২টি দেশে আলফা, ১৩১টি দেশে বেটা, ৮১টি দেশে গামা ও ১৩২টি দেশে ডেল্টা শনাক্ত হয়েছে।

বিশেষ করে ২০২০ সালের শেষের দিকে ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টার সংক্রমণ সবচেয়ে মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এটি মার্স, সার্স, ইবোলা, সাধারণ সর্দিজ্বর, এমনকি জলবসন্ত বা চিকেনপক্সের চেয়েও বেশি সংক্রামক ও বিপজ্জনক বলে গত সপ্তাহে জানায় সিডিসি।

এ বিভাগের আরো খবর