বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানব কোষে সাবানসদৃশ উপাদানে ব্যাকটেরিয়া নির্মূল

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ১৪:৪৪

গবেষকরা বলেন, মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে গড়পড়তা ভূমিকা রাখা ‘নন-ইমিউন’ কোষগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। অথচ রোগ প্রতিরোধে এসব কোষের ভূমিকাও অপরিহার্য। এসব কোষ অনেক নতুন রোগের ওষুধ আবিষ্কারের পথ খুলে দিতে পারে।

ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পেতে সাবানের মতো এক ধরনের উপাদান তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি তৈরি করা হয় মানুষের দেহের কোষ ব্যবহার করে।

বিস্ময়কর এই ‘কোষ প্রতিরক্ষা কৌশল’ ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার সম্ভব হতে পারে বলে আশাবাদী গবেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্সের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সে শুক্রবার প্রকাশ করা হয় এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি।

প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘আ হিউম্যান অ্যাপোলিপোপ্রোটিন এল উইথ ডিটারজেন্ট-লাইক অ্যাক্টিভিটি কিলস ইন্ট্রাসেলুলার প্যাথোজেনস’

এতে বলা হয়, মানবদেহে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করলে দেহের কিছু কোষ থেকে সাবানের মতো একটি উপাদান নিঃসৃত হয়।

গবেষকরা বলছেন, এসব কোষ দেহের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অংশ নয়। কিন্তু তাদের নিঃসৃত ডিটারজেন্টধর্মী আমিষে ব্যাকটেরিয়ার অভ্যন্তরীণ ঝিল্লি গলে যায়। এই ওই ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের গবেষক ও ইমিউনোলজিস্ট জন ম্যাকমিকিং জানান, মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অ্যান্টিবডি বা শ্বেত রক্তকণিকা যতোটা আলোচিত, রোগ প্রতিরোধে সক্ষম অন্যান্য কোষ ততোটা গুরুত্ব পায় না।

তিনি বলেন, মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে গড়পড়তা ভূমিকা রাখা ‘নন-ইমিউন’ কোষগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। অথচ রোগ প্রতিরোধে এসব কোষের ভূমিকাও অপরিহার্য। এসব কোষ অনেক নতুন রোগের ওষুধ আবিষ্কারের পথ খুলে দিতে পারে।

জানা যায়, রোগ-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি বা শ্বেত রক্তকণিকার কাছ থেকে পাওয়া বার্তার ওপর নির্ভরশীল ‘নন-ইমিউন’ কোষ।

দেহে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে বিশেষায়িত রোগ-প্রতিরোধী কোষ একটি সতর্কবার্তা পাঠায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ইন্টারফেরন গামা’।

এই বার্তা পেয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে অন্যান্য সাধারণ বা নন-ইমিউন কোষ। এসব কোষের মধ্যে আছে আমাদের গলা ও অন্ত্রে থাকা ‘ইপিথিলিয়াল সেল’।

দেহে প্যাথোজেন অর্থাৎ ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীব প্রবেশ করলে সেগুলো প্রথম আঘাত করে ইপিথিলিয়াল সেলে। তাই এর আগেই রোগ-প্রতিরোধী কোষ থেকে বার্তা পেয়ে প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করে ইপিথিলিয়াল সেল।

ম্যাকমিকিং ও তার সহকর্মীরা মানবদেহের ইপিথিলিয়াল সেলের কৃত্রিম সংস্করণে স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করে পরীক্ষাটি চালিয়েছেন। এরপর মানুষের দেহের ১৯ হাজারের বেশি জিন বিশ্লেষণ করেছেন করেছেন তারা।

দেখা গেছে, এপিওএলথ্রি আমিষ ধারণকারী একটি জিন শেষ পর্যন্ত লড়ে যায় ক্ষতিকর অণুজীবের বিরুদ্ধে।

এই জিনটিকে নিষ্ক্রিয় করে দিলেই স্যালমোনেলার কাছে হার মানে ইপিথিলিয়াল সেল। তখন ‘ইন্টারফেরন গামা’ সংকেত পেয়েও লাভ হয় না।

এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর এপিওএলথ্রির ক্ষুদ্রাংশ মূল কোষে প্রবেশ করিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, এটি সরাসরি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে সক্ষম হয়ে ওঠে।

এ বিভাগের আরো খবর