কুকুরের খাবার প্রস্তুতকারী বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কাঁচা খাবার বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সুপারবাগ ছড়াতে পারে।
ইউরোপের গবেষকরা ২৫টি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডের সিক্ত, কাঁচা ও রান্না করা কুকুরের খাবার পরীক্ষা করেন। অর্ধেকের বেশি নমুনায় তারা এনটারোকচি ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পান।
সায়েন্স এলার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুকুরের খাবারে মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে ওই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়।
মানবদেহে সার্জারি-পরবর্তী ইনফেকশন ও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের জন্য দায়ী এনটারোকচি ব্যাকটেরিয়া।
কুকুরের খাবার বিশেষ করে কাঁচা খাবার গৃহপালিত পশুর মালিকদের সুপারবাগের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
গবেষণায় কুকুরের খাবারের নমুনার কিছু জীবাণু ওষুধে কাজ করলেও ৪০ শতাংশের বেশি নমুনা এরিথ্রোমাইসিন, এমপিসিলিনসহ ব্যাপক মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ দেখিয়েছে।
পর্তুগালে কুকুরের খাবারেই শুধু গবেষণাটি চালানো হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এসব খাবার তৈরি করে, তা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়।
যদি এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে সংক্রমণ ঘটায়, তাহলে এর চিকিৎসাও দুরূহ হবে।
পর্তুগালের ইউনিভার্সিটি অফ পোর্তোর মলিকিউলার জেনেটিসিস্ট অ্যানা ফ্রেইটাস বলেন, ‘কুকুরের সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠ সঙ্গ এবং গবেষণা করা খাবার জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
‘কাঁচা খাবার গৃহপালিত পশুকে দেয়ার সময় এবং কুকুরের খাবার উৎপাদনের সময় সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
‘পাশাপাশি খাবার বাছাই ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ও পর্যালোচনা করা দরকার।’
কুকুরের মূত্র ও তাদের খাবার বেশকিছু প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বহন করে বলে অনেকে এর আগে মত দিয়েছেন, যা কুকুরের মালিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে।
সাম্প্রতিক এই গবেষণা কুকুরের খাবার এনটারোকচি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী বলেও উঠে আসে।