চীনের নতুন মহাকাশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে হেঁটেছেন দেশটির দুই নভোচারী।
স্টেশনটিতে ১৫ মিটার দীর্ঘ রোবটিক হাত বসাতে রোববার তারা বের হন বলে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার প্রতিবেদনে দেখা যায়, নভোচারী লিউ বোমিং ও ট্যাং হংবো চীনের মহাকাশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসছেন। তাদের পেছনে পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘুরছিল।
মহাকাশ স্টেশনের ভেতরেই ছিলেন তৃতীয় নভোচারী কমান্ডার নি হাইশেং।
১৭ জুন ওই তিন নভোচারী চীনের তৃতীয় মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান। সেখানে তারা তিন মাস অবস্থান করবেন।
চলতি বছরের মে মাসে চীনের একটি রোবট রোভার মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করে।
মহাকাশ ঘিরে দেশটির উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির অংশ হিসেবে নতুন মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করছেন নভোচারীরা।
ক্ষমতাসীন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ১০০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে চীন। এমন সময় মহাকাশ অভিযান জোরদার করেছে দেশটি।
২৯ এপ্রিল চীনের নতুন মহাকাশ স্টেশনের প্রথম মডিউল তিয়েনহে বা স্বর্গীয় সম্প্রীতি চালু হয়। পরে খাবার, জ্বালানিসহ একটি স্বয়ংক্রিয় মহাকাশযান এটিতে যুক্ত হয়।
১৭ জুন লিউ, নি ও ট্যাং শেনঝাউ ক্যাপসুলে প্রবেশ করেন।
শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার লিউ ও ট্যাং মহাকাশ স্টেশনটিতে একটি রোবটিক হাত বসাতে সফল হন। এটি স্টেশনের বাকি যন্ত্রাংশ জুড়তে সহযোগিতা করবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নভোচারীদের স্পেস স্যুট এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে মহাকাশে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন তারা।
আগামী বছরের শেষ নাগাদ ৭০ টনের মহাকাশ স্টেশনটিতে আরও দুটি মডিউল যুক্ত করার মাধ্যমে সব মিলিয়ে ১১টি মডিউল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে চীনের মহাকাশ সংস্থার।
২০০৮ সালে শেনঝাউ ৭ মিশনে কাজ করেছিলেন লিউ। ওই সময় চীনের ঝাই ঝিগ্যাং প্রথম মহাকাশে হাঁটেন।
মহাকাশে এ নিয়ে নভোচারী নিয়ে তৃতীয় যাত্রা। অন্যদিকে লিউয়ের এটিই প্রথম।
নভোচারীদের প্রত্যেকেই সামরিক পাইলট।