বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানুষের পা পড়ার অপেক্ষায় চীনের মহাকাশ স্টেশন

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ১৩:০৩

চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, প্রায় তিন মাস সেখানে থাকবেন নভোচারীরা। তাদের প্রত্যেকের থাকার জন্য রয়েছে আলাদা মডিউল, একটি বাথরুম, খাবার রুম এবং ই-মেইল আদানপ্রদান ও পৃথিবীর সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনে একটি বিশেষ কক্ষ।

চীনের নতুন মহাকাশ স্টেশনে প্রথমবার নভোচারীসহ রকেট পাঠাতে যাচ্ছে দেশটি। তিন নভোচারীকে নিয়ে রকেটটি রওনা দেবে বৃহস্পতিবার।

এটি হবে মহাকাশে চীনের এযাবৎকালের দীর্ঘতম মিশন, যেখানে মানুষ পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় পাঁচ বছরে প্রথমবার মহাকাশে মানুষ পাঠাতে যাচ্ছে বেইজিং।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মহাকাশ স্টেশনটিতে নভোচারীদের জন্য থাকবে ১২০ ধরনের স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাদ্য, শরীরচর্চার জন্য মহাকাশে চলতে সক্ষম বিশেষ ধরনের ট্রেডমিল ইত্যাদি।

চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, প্রায় তিন মাস সেখানে থাকবেন নভোচারীরা। তাদের প্রত্যেকের থাকার জন্য রয়েছে আলাদা মডিউল, একটি বাথরুম, খাবার রুম এবং ই-মেইল আদানপ্রদান ও পৃথিবীর সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনে একটি বিশেষ কক্ষ।

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোবি মরুভূমিতে অবস্থিত জিউকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২২ মিনিটে মহাকাশের উদ্দেশ্য রওনা দেবে লং মার্চ-টুএফ।

তিয়াংগং স্পেস স্টেশনের মূল অংশ তিয়ানহেতে অবতরণ করবে তাদের বহনকারী মহাকাশযানটি। গত ২৯ এপ্রিল পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয় তিয়াংগং।

আগামী দেড় বছরের মধ্যে তিয়াংগংকে পরিপূর্ণ স্পেস স্টেশন হিসেবে রূপ দিতে আরও ১১টি অভিযান পরিচালনা করবে চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এর মধ্যে আছে স্যোলার প্যানেল সংযুক্তিকরণ ও দুটি গবেষণাগার মডিউল।

মহাকাশে অন্তত ১০ বছর তিয়াংগংকে সচল রাখা লক্ষ্য চীনের।

মিশনের কমান্ডার নিয়ে হাইশেং বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গত এক দশকে চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে অনেকগুলো উজ্জ্বল অধ্যায় যোগ করেছি আমরা। নতুন এই মিশন আমাদের জাতীয় প্রত্যাশা পূরণের সূচনা।’

মহাকাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং হাঁটাচলায় সুবিধা করতে তার দলের সদস্যরা ছয় হাজার ঘণ্টার বেশি সময় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

চীনে নভোচারীর প্রশিক্ষণের জন্য বাছাইকৃত ১৯৯৮ সালের প্রথম দলটির একজন নিয়ে হাইশেং। এ পর্যন্ত মহাকাশে দুটি মিশনে অংশ নিয়েছেন তিনি।

তিনি ও তার দলের সবাই চীনা সেনাবাহিনীর সদস্য।

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, ইউরোপ ও জাপানের সম্মিলিত অংশগ্রহণে নির্মিত মহাকাশের একমাত্র স্টেশন আইএসএসে চীনা নভোচারীদের নিষিদ্ধ করার পর থেকে মহাকাশে একক আধিপত্য তৈরির লক্ষ্য নেয় বেইজিং।

২০২৪ সালে শেষ হবে আইএসএসের মেয়াদ। এটি পুনরায় পূর্ণাঙ্গরূপে সচল হতে হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

এ বিভাগের আরো খবর