বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শুক্রে নাসার জোড়া অভিযান

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ১৬:৩৮

শুক্র গ্রহের ঘন বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করবে দাভিঞ্চি প্লাস। এর মাধ্যমে গ্রহটিতে তীব্র তাপমাত্রার কারণ জানা সম্ভব হবে। অন্যদিকে পৃষ্ঠ থেকে কক্ষপথ পর্যন্ত শুক্রের মানচিত্র তৈরি করবে ভেরিটাস। এর মাধ্যমে গ্রহটির ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস জানা সম্ভব হবে।

৩০ বছর পর ‘পৃথিবীর যমজ’ খ্যাত শুক্র গ্রহে নতুন অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

২০২৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রহটিতে নাসা দুটি মহাকাশযান পাঠাবে। দুটি অভিযানের জন্য ৫০ কোটি ডলার করে ১০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হবে।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুটি অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে দাভিঞ্চি প্লাস ও ভেরিটাস।

‘ডিপ অ্যাটমোস্ফিয়ার ভেনাস ইনভেস্টিগেশন অফ নোবেল গ্যাসেস, কেমিস্ট্রি অ্যান্ড ইমেজিং’-এর আদ্যাক্ষর ‘ডিএভিআইএনসিআই’ এবং ‘ভেনাস এমিসিভিটি, রেডিও সায়েন্স, ইনসার, টোপোগ্রাফি অ্যান্ড স্পেক্ট্রোস্কপি’র আদ্যাক্ষর ‘ভিইআরআইটিএএস’ নিয়ে এ নামকরণ করা হয়েছে।

নাসা জানিয়েছে, শুক্রের ঘন বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করবে দাভিঞ্চি প্লাস। এর মাধ্যমে গ্রহটিতে তীব্র তাপমাত্রার কারণ জানা সম্ভব হবে।

অন্যদিকে পৃষ্ঠ থেকে কক্ষপথ পর্যন্ত শুক্রের মানচিত্র তৈরি করবে ভেরিটাস। এর মাধ্যমে গ্রহটির ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস জানা সম্ভব হবে।

পৃথিবীর প্রতিবেশী ও সূর্যকে প্রদক্ষিণরত দ্বিতীয় নিকটতম গ্রহ শুক্রের আকৃতি অনেকটা পৃথিবীর মতো। তবে পৃথিবীর চেয়ে শুক্র আকারে খানিকটা ছোট ও অনেক গরম।

এর পৃষ্ঠের ওপরই কার্বন ডাইঅক্সাইডের ঘন ও বিষাক্ত বায়ুমণ্ডল রয়েছে। তার সঙ্গে আছে সালফারিক এসিড ড্রপলেটের মেঘ।

এসব কারণে শুক্রের তাপমাত্রা ৮৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪৭১ সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। সে তাপমাত্রায় সিসা গলে যায়।

শুক্রের বাতাস এতটাই ঘন আর চাপযুক্ত যে একে গ্যাস না বলে তরলও বলা যায়।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, শুক্রে একসময় সমুদ্র ছিল। অর্থাৎ এ গ্রহে কোনো না কোনো সময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে আশাবাদী তারা।

মঙ্গলের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় নিকটতম প্রতিবেশী শুক্র নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা তুলনামূলক কম।

গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলপৃষ্ঠে অভিযান শুরু করে নাসার পারসিভারেন্স রোভার।

অন্যদিকে ১৯৯০ সালে শেষবার শুক্রে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল নাসা। চার বছর ধরে শুক্রের কক্ষপথ ঘুরে গ্রহটির পৃষ্ঠের প্রথম মানচিত্র ও মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রের নকশা তৈরি করে ম্যাগেলান নামের ওই মহাকাশযানটি।

অভিযানে ইতি টানার আগে বায়ুমণ্ডলের তথ্য সংগ্রহে শুক্রের আরও কাছে পাঠানো হয়েছিল ম্যাগেলানকে। প্রায় একই ভূমিকায় দেখা যাবে দাভিঞ্চি প্লাসকে।

শুক্রের পৃষ্ঠে যদি দাভিঞ্চি প্লাস সফল অবতরণে সক্ষমও হয়, তাও তীব্র তাপমাত্রায় বড়জোড় ২০ মিনিট সেখানে টিকে থাকতে পারবে মহাকাশযানটি।

বুধ প্রদক্ষিণের পর ১৯৭৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রের ঘন বায়ুমণ্ডলের ছবি তুলেছিল নাসার মহাকাশযান মেরিনার ১০।

এ বিভাগের আরো খবর