বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একবার করোনায় আক্রান্ত হলে ‘আজীবন অ্যান্টিবডি’

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৫:২৩

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃদু উপসর্গ থেকেই যারা সেরে ওঠেন, তাদের অস্থিমজ্জার কোষ কয়েক দশক ধরে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়ে ওঠে। তবে এসব অ্যান্টিবডির মাধ্যমে প্রাপ্ত সুরক্ষা ভাইরাসের ধরনভেদে কিছুটা এদিক-ওদিক হতে পারে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া অনেক মানুষের দেহে সারা জীবনের জন্য ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গেছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচারে।

সাময়িকীটির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃদু উপসর্গ থেকেই যারা সেরে উঠেছেন, তাদের অস্থিমজ্জায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক দীর্ঘ সময় জীবিত থেকে অ্যান্টিবডি উৎপাদনে সক্ষম কোষ শনাক্ত করেছেন গবেষকরা।

তাদের দাবি, কয়েক দশক ধরে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম এই কোষগুলো। তবে এসব অ্যান্টিবডির মাধ্যমে প্রাপ্ত সুরক্ষা ভাইরাসের ধরনভেদে কিছুটা এদিক-ওদিক হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজিস্ট মেননো ভ্যাস জেম বলেন, ‘সুখবরটা হচ্ছে, টিকা নিয়ে করোনাভাইরাস থেকে যতটা সুরক্ষিত থাকা সম্ভব, সেই একই রকম স্থায়ী সুরক্ষা দেবে এই অ্যান্টিবডিও।’

ইংরেজি বর্ণ ওয়াই আকৃতির একটি প্রোটিন হলো অ্যান্টিবডি। মানবদেহে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত এবং ধ্বংসে এ প্রোটিনকে ব্যবহার করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

সদ্য হওয়া কোনো সংক্রমণের ফলে ‘প্লাজমাব্লাস্ট’ হিসেবে পরিচিত স্বল্প আয়ুর কোষ দেহে অ্যান্টিবডি তৈরির প্রাথমিক উৎস। দেহ থেকে ভাইরাস নির্মূল হওয়ার পরপরই এই কোষগুলো কমে যায়।

অন্যদিকে দীর্ঘ আয়ুর কোষে তৈরি অ্যান্টিবডি ‘মেমোরি বি সেল’ রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে প্রবাহিত হয় এবং নতুন সংক্রমণ রোধ করে।

আর অস্থিমজ্জায় থাকা প্লাজমা সেল (বিএমপিসি) হাড়ের ভেতর লুকিয়ে থেকে দশকের পর দশক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যায়।

গবেষণাটির প্রধান গবেষক ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির বি-সেল ইমিউনোলজিস্ট আলি এলেবেডি বলেন, ‘রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর যেসব ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আমরা আসি, জীবনব্যাপী সেগুলোর রেকর্ড একেকটি প্লাজমা সেল।’

গবেষকরা ধারণা করেছিলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানেই অস্থিমজ্জায় থাকা প্লাজমা সেল আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠা। কিন্তু গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে করোনায় গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের দেহে এই কোষের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।

করোনাভাইরাসবিষয়ক কিছু প্রাথমিক গবেষণায়ও দেখা গিয়েছিল, যেসব রোগীর সুস্থ হয়ে উঠতে দীর্ঘদিন লেগে যায়, তাদের দেহে অ্যান্টিবডি উৎপাদনের মাত্রা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কমে যায়।

এলেবেডির নেতৃত্বে মৃদু উপসর্গ নিয়ে করোনা থেকে সেরে ওঠা ৭৭ জন ব্যক্তির দেহের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা।

দেখা গেছে সংক্রমণের চার মাস পর্যন্ত তাদের দেহে করোনাভাইরাস ধ্বংসকারী অ্যান্টিবডির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমতে থাকে। কিন্তু তারপর এই গতি অনেক ধীর হয়ে যায়।

গবেষকরা সংক্রমণের ১১ মাস পরও রোগীর দেহে এই অ্যান্টিবডি শনাক্ত করেছেন।

১১ মাস টিকে থাকা এই অ্যান্টিবডির উৎস খোঁজার লক্ষ্যে বেশ কয়েকজনের দেহ থেকে মেমোরি বি সেল ও অস্থিমজ্জা সংগ্রহ করা হয়।

এগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপসর্গ দেখা দেয়ার সাত মাস পরও বেশিরভাগ ব্যক্তির মেমোরি বি সেল করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে পেরেছে।

এ বিভাগের আরো খবর