বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৃতের গন্ধ ছড়ায় যে ফুল

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ২১:৪২

অ্যারিসটোলোচিয়ার বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে বিশেষ একটি প্রজাতির দিকেই নজর দেয় গবেষণা দল, যার নাম অ্যারিসটোলোচিয়া মাইক্রোস্টোমা। গ্রিসেই এ জাতের ফুল বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

মরদেহ থেকে বের হওয়া গন্ধ ব্যবহার করে কফিন ফ্লাইয়ের মতো পতঙ্গকে প্রলুব্ধ ও বন্দি করে একধরনের ফুল। পরাগায়নের জন্য কীটপতঙ্গকে আকৃষ্ট করতে ওই ধরনের গন্ধ ছড়ায় ফুলটি।

সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে বলে লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, এই প্রথম এমন ফুলের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেটি মৃত কীটপতঙ্গের গন্ধ নকল করতে পারে। মেরুদণ্ডী প্রাণীর পক্ষে এমনটি করা সম্ভব নয়।

বিশ্বে যত ধরনের ফুল রয়েছে, তার মধ্যে কেবল ৪ থেকে ৬ শতাংশ ফুল পরাগায়নের সময় ছলনার আশ্রয় নেয়। পরাগরেণুবাহী কীটপতঙ্গদের এসব ফুল গন্ধ, বর্ণ বা স্পর্শের মাধ্যমে আকৃষ্ট করে। এ ধরনের কপটতার জন্য অর্কিড বেশ পরিচিত।

তবে শুধু অর্কিড নয়, অ্যারিসটোলোচিয়াসহ ফুলের অন্যান্য গোত্রও পরাগায়নের স্বার্থে নানা কৌশলের আশ্রয় নেয়।

বিশ্বজুড়ে অ্যারিসটোলোচিয়া গোত্রের সাড়ে পাঁচ শর বেশি প্রজাতির উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও প্রায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এসব প্রজাতির দেখা বেশি মেলে। পরাগায়িত হতে এসব ফুল সাময়িকভাবে পরাগরেণুবাহীকে বন্দি করে।

অস্ট্রিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সালজবুর্গের ডক্টরাল শিক্ষার্থী ও গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক টমাস রুপ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফুলের গন্ধের মাধ্যমে অ্যারিসটোলোচিয়া প্রজাতির অনেক ফুল পতঙ্গদের আকৃষ্ট করে। গলিত মাংস বা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মল, মরে যাওয়া উদ্ভিদ বা ছত্রাকের গন্ধ এরা হুবহু নকল করতে পারে।’

তবে অ্যারিসটোলোচিয়ার বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে বিশেষ একটি প্রজাতির দিকেই নজর দেয় রুপ ও তার গবেষণা দল, যার নাম অ্যারিসটোলোচিয়া মাইক্রোস্টোমা। গ্রিসেই এ জাতের ফুল বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

রুপ বলেন, ‘অ্যারিসটোলোচিয়া প্রজাতির অন্যান্য নজরকাড়া ফুলের চেয়ে ভিন্ন অ্যারিসটোলোচিয়া মাইক্রোস্টোমা। বাদামি রঙা এ প্রজাতি অনুভূমিকভাবে মাটির কাছাকাছি থাকে। গাছের পাতা বা পাথরের কারণে ঢাকা পড়ে থাকে এসব ফুলের দেহের বড় একটা অংশ। ‘এ প্রজাতির ফুল বাজে পচা-গলা মাংসের মতো একধরনের গন্ধ ছড়ায়। যার ফলে অল্প দূরে থাকা যে কেউ ফুলগুলোর উপস্থিতি সহজে টের পায়।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিসের তিনটি জায়গা থেকে ১ হাজার ৪৫০টির বেশি অ্যারিসটোলোচিয়া মাইক্রোস্টোমার নমুনা সংগ্রহ করে রুপের দল। ফুলগুলোর ভেতর ২৪৮টির মতো পতঙ্গ পায় গবেষণা দলটি।

গবেষণার একপর্যায়ে দলটি জানতে পারে, প্রাণী ও কীটপতঙ্গের মরদেহ খাওয়া ও তাতে ডিম পাড়া পুং ও স্ত্রী মেগাসেলিয়া ফ্লাই (যা কফিন ফ্লাই নামেও পরিচিত) একমাত্র আর্থ্রোপড, যারা অ্যারিসটোলোচিয়া মাইক্রোস্টোমা প্রজাতির ফুলের পরাগায়নে ভূমিকা রাখে।

গবেষণার পরবর্তী ধাপে ফুলগুলো থেকে ছড়ানো গন্ধ আলাদাভাবে শনাক্ত করতে গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি ও মাস স্পেকট্রোমেট্রির মতো কৌশল গ্রহণ করে গবেষকরা। একপর্যায়ে কড়া গন্ধের নাইট্রোজেন, সালফারের যৌগসহ ১৬টি ভিন্ন ভিন্ন যৌগের সন্ধান পান তারা।

এ বিভাগের আরো খবর