করোনাভাইরাসের আরও দুটি ধরন দ্রুত মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে নতুন গবেষণায়।
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া ইউনিভার্সিটির এই গবেষণায় বলা হয়েছে, কুকুর ও বিড়াল থেকে সংক্রমিত এই বিশেষ ধরনের করোনাভাইরাস দুটি এখনও মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়নি।
ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির পশুবিষয়ক ভাইরাসবিদ আনাসটাসিয়া ভ্লাসোভা বলেন, ‘বিড়াল ও কুকুর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস পৃথিবীর সব জায়গাতেই রয়েছে। তবে সেই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে এখনও সংক্রমিত হয়নি।’
কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়ায় নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল আটটি শিশু। তাদের সবাই নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ওই শিশুরা করোনাভাইরাসের যে ধরনটিতে আক্রান্ত ছিল, তার উৎস ছিল কুকুর। আইওয়া ইউনিভার্সিটির করা ক্লিনিক্যাল ইনফেকসাস ডিজিজেস নামের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এই গবেষণায় এর আগে অংশ নেয়া ভাইরাসবিদ স্টেনলি পার্লম্যান বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণায় আমরা দেখতে পাই ভাইরাসটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রজাতিকে আক্রান্ত করেছে।’
তবে নতুন করোনাভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছিল কি না, তা তাদের গবেষণায় স্পষ্ট করা হয়নি।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স ম্যাগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এমন তথ্য উঠে আসে।
গবেষকরা শঙ্কা জানিয়েছেন, আক্রান্ত মানুষের শরীরে অবস্থান নিয়ে নতুন এই করোনাভাইরাসটি হয়তো অন্য মানুষের শরীরে সংক্রমিত হওয়ার শক্তি অর্জন করে ফেলতে পারে।
এই প্রথম প্রকাশিত গবেষণায় শঙ্কা জানানো হয়, কুকুর প্রজাতির প্রাণী থেকে মানবদেহে সংক্রমিত করোনাভাইরাসের ধীরে ধীরে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে।
করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত শনাক্ত ৭টি ধরনের মধ্যে কেবল সার্স কোভ-২ ধরনের করোনাভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। আর এর প্রকোপে সৃষ্ট মহামারিতে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৪ লাখ মানুষ। আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি মানুষ।